সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য ‘ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক’ পেলেন প্রখ্যাত দুই সংগীত শিল্পী ফেরদৌসী রহমান ও সৈয়দ আব্দুল হাদী। বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এক অনুষ্ঠানে তাদের এ পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়। উপমহাদেশে নজরুল সংগীতের কিংবদন্তী শিল্পী ফিরোজা বেগমের নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগে প্রতিষ্ঠিত ‘ফিরোজা বেগম স্মৃতি ট্রাস্ট ফান্ডে’র পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতি বছর এ পুরষ্কার প্রদান করা হয়।
করোনার কারণে গত দু’বছর এই পুরষ্কার প্রদানের অনুষ্ঠান আয়োজন করতে না পারায়, এ বছর একই সাথে ২০২০ সালের জন্য শিল্পী ফেরদৌসী রহমান ও ২০২১ সালের জন্য সৈয়দ আব্দুল হাদীকে এই পুরষ্কারের জন্য মনোনীত করা হয়। পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির ও ফিরোজা বেগম মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ফান্ড ও পৃষ্ঠপোষকতা করার জন্য তিনি এসিআই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এম. আনিস উদ দৌলা। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. দেবপ্রসাদ দাঁ।
অনুষ্ঠানে উপাচার্যের কাছ থেকে শিল্পী ফেরদৌসী রহমান ও সৈয়দ আব্দুল হাদী স্বর্ণপদক ও পুরস্কার গ্রহণ করেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের ২০২০ ও ২০২১ সালের বি.এ. সম্মান পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সিজিপিএ অর্জনকারী শিক্ষার্থীকেও পুরস্কৃত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাদের স্বর্ণপদক প্রদান করা হবে। অনুষ্ঠানে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে ফেরদৌসী রহমান বলেন, আজকের দিন আমার জন্য বিশেষ দিন। ফিরোজা বেগমের সাথে আমার অন্যরকম সম্পর্ক ছিল। মেধা আর পরিশ্রমের অসাধারণ সমন্বয় ছিলেন ফিরোজা আপা।
সৈয়দ আব্দুল হাদী বলেন, এ পদক গ্রহণের মাধ্যমে ফিরোজা বেগমের প্রতি সম্মান জানানোর সুযোগ পাচ্ছি, এটা অনেক বড় বিষয়। তার সাথে দ্বৈত গান গাওয়ার সুযোগ হয়েছিলো। তিনি অসম্ভব রকম স্নেহ করতেন আমাকে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান পুরস্কার লাভ করায় কণ্ঠশিল্পী ফেরদৌসী রহমান এবং সৈয়দ আব্দুল হাদীকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, একজন কিংবদন্তি শিল্পীর নামে প্রবর্তিত স্বর্ণপদক ও পুরস্কার দেশের দু’জন কিংবদন্তি শিল্পী লাভ করলেন। প্রয়াত শিল্পী ফিরোজা বেগমের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে উপাচার্য বলেন, বাংলা সংগীতকে তিনি বিশ্ব দরবারে সমৃদ্ধরূপে উপস্থাপন করেছেন। শ্রম, নিষ্ঠা ও সাধনার মাধ্যমে তিনি নজরুল সংগীতকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর গুণাবলী ও মূল্যবোধ ধারণ করে সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে অবদান রাখার জন্য উপাচার্য নতুন প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর