প্রথাগত ডিগ্রীর গুরুত্ব হ্রাস পাওয়া ও দেশ-বিদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার তথা জনপ্রিয়তার গুরুত্ব অনুধাবন করে দেশের ব্যবসায় শিক্ষার প্রথিতযশা ব্যক্তিত্বদের নিরলস প্রচেষ্টায় রাজধানী ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় কমার্স বিশেষায়িত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘ঢাকা কমার্স কলেজ।
নতুন বিভিন্ন শ্রেণি, বিভাগ খোলার মধ্য দিয়ে উচ্চশিক্ষার অবারিত সুযোগ তৈরিসহ প্রায় সকল শ্রেণিতেই প্রতি বছর ঈর্ষণীয় ফলাফল তথা অবকাঠামোগত উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় কলেজটি এগিয়ে চলেছে। গ্রেডিং পদ্ধতি চালু হওয়ার পর এই কলেজের পাশের হার গড়ে বছরে ৯৯.৭১%।
সাফল্যের ধারাবাহিকতা, বিশেষ করে যুগের এবং অভিভাবক, শিক্ষার্থীদের চাহিদার বিবেচনায় উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ব্যবসায় শিক্ষার পাশাপাশি কলেজটিতে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে বিজ্ঞান গ্রুপ চালু করা হয়। ব্যবসায় শিক্ষার ন্যায় বিজ্ঞানেও কলেজটি তার সুখ্যাতি ধরে রাখবে’ এমন বিশ্বাস তথা আস্থা থেকেই এই সারা পায় প্রতিষ্ঠানটি। যার প্রতিফলন ঘটে ২০২১-এ প্রকাশিত এই শাখার উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম ফলাফলে। উক্ত শাখা থেকে ১০৮৬ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ১০৮১ জন। পাসের হার ৯৯.৫৪% এবং জিপিএ ৫ পায় ৬৬৮ জন। তাই এতদিন কমার্স পড়ার কথা ভাবলে সবার আগে যেমন ঢাকা কমার্স কলেজের নাম উচ্চারিত হত এখন থেকে সায়েন্সের বেলায়ও তাই ঘটছে।
কলেজটিতে একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি বহুবিধ শিক্ষামূলক কার্যক্রম অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে রুটিনমাফিক নিয়মিত পরিচালিত হয়।
কলেজটির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্বে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. সফিক আহমেদ সিদ্দিক। ১৯৯৮ সাল থেকে তিনি এই দায়িত্ব পালন করছেন। তার যোগ্য দিকনির্দেশনা, পরামর্শ তথা নেতৃত্বে অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবু মাসুদ শিক্ষকদের সমন্বয়ে কলেজেটিকে উত্তরোত্তর সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কলেজটির ২৮০২জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে ২৭৯৫ জন কৃতকার্য হয়। পাসের হার ৯৯.৭৫%। ব্যবসায় শিক্ষা ও বিজ্ঞান এই উভয় শাখা থেকে সর্বমোট ১৭২০জন শিক্ষার্থী জিপিএ-০৫ অর্জন করে।