বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাউবি) তিন দফা দাবিতে ফের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বাউবি’ ব্যানারে আইন, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) এবং ফুড সায়েন্স অ্যান্ড নিউট্রিশন প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি পালন করেন। কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাহিন সরকার উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীপুর মূল ক্যাম্পাসে এ কর্মসূচি পালিত হয়। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এ আন্দোলন করে আসছেন।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- মূল ক্যাম্পাসে ক্লাস-পরীক্ষার ব্যবস্থা করা এবং আইন প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি বাস্তবায়ন, শহীদ আবু সাঈদ হল (ছাত্র) এবং শহীদ নাঈমা সুলতানা হলের (ছাত্রী) লিখিত অনুমোদন দিয়ে দ্রুত সংস্কার করা, স্থগিত হওয়া ‘স্কুল অব ল’ চালু এবং মুট কোর্ট ও ডিবেট ক্লাবের ব্যবস্থা করা।
মানববন্ধনে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাহিন সরকার বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়াসমূহ ন্যায্য এবং যৌক্তিক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খুব সহজেই নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মূল ক্যাম্পাসে ক্লাস-পরীক্ষা নিতে পারে এবং তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে। কিন্তু আমরা শুনতে পেরেছি, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনও তা বাস্তবায়ন করেননি। এছাড়া শিক্ষক-কর্মকর্তারাও আন্দোলনের সময় দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিলেও এখন তারা বিশ্বাসঘাতকতা করছেন, যা খুবই দুঃখজনক।
তিনি আরও বলেন, আমরা উপাচার্য, ডীনদের সঙ্গে এই ব্যাপারে কথা বলবো এবং শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি-দাওয়া শিগগিরই বাস্তবায়ন করতে হবে। যদি দাবি-দাওয়া বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে আমরা প্রয়োজনে শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে যাবো।
আইন প্রোগ্রামের শিক্ষার্থী খালিদ মিনহাজ তানিন বলেন, নতুন প্রশাসন আমাদের দাবি-দাওয়া বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ইতোমধ্যেই গড়িমসি শুরু করেছে। তাছাড়া এখনও স্বৈরাচারের দালাল রেজিস্ট্রার, ট্রেজারার স্বপদে বহাল রয়েছে। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলতেই থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/একেএ