রেজিস্ট্রার, গণসংযোগ কর্মকর্তা ও প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ আট দফা দাবিতে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) চলমান আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা। প্রক্টরকে সাময়িক বরখাস্ত করায় মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন।
এর আগে দুপুর থেকে তৃতীয় দিনের মতো উত্তপ্ত হয়ে উঠে সিকৃবি। প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে ভিসিসহ অন্তত অর্ধশত শিক্ষক-কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিকেলে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বৈঠক হয় এবং এসময় প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হককে সাময়িক বরখাস্ত করায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেন।
জানা যায়, নতুন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে ছাত্রদলের টানানো ব্যানার গত বৃহস্পতিবার রাতে ছিঁড়ে ফেলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় কিছু বহিরাগত এতে যোগ দেয় বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ।
এদিকে, সংঘর্ষের সময় নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে রবিবার থেকে ক্যাম্পাসে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তারা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে তালা দেন। শিক্ষার্থীদের ৮ দফা দাবির মধ্যে ছিল- রেজিস্ট্রার, গণসংযোগ কর্মকর্তা ও প্রক্টরিয়ার বডির পদত্যাগ। টানা ৩ দিন আন্দোলন শেষে মঙ্গলবার বিকেলে প্রক্টরের সাময়িক বরখাস্তের মধ্যদিয়ে আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা।
সিকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আলিমুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী প্রক্টর ড. মোজাম্মেল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। দাবি মেনে নেওয়ায় আন্দোলন স্থগিত করেছে শিক্ষার্থীরা। বুধবার থেকে যথারীতি ক্লাস-পরীক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলবে।
তিনি বলেন, ঘটনার রাতে প্রক্টর দায়িত্ব অবহেলা করেছেন কি না, সেটি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাত কার্য দিবসের মধ্যে কমিটি তদন্ত রিপোর্ট পেশ করবে। এছাড়া বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী- ড. মোজাম্মেল তার প্রক্টরিয়াল দায়িত্ব পালন না করলেও ক্লাস-পরীক্ষা নেবেন।