জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্কের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন জুলাই-আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানের সমন্বয়কারী ও শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে, ক্যাম্পাসে অভ্যুত্থানের সময় শিক্ষার্থীদের আঁকা দেওয়াল লিখন ও গ্রাফিতি পরিদর্শন করেন ফুলকার তুর্ক।
সভায় ফলকার তুর্ক বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ও অতীতের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর ন্যায়বিচার নিশ্চিতে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি দীর্ঘস্থায়ীভাবে মোকাবিলা করা এবং রাষ্ট্রীয় প্রধান প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সাংবাদিক, শ্রমজীবী, সমাজকর্মী এবং অন্যান্য মানবাধিকার রক্ষকদের নির্বিঘ্নে এবং স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য একটি উন্মুক্ত পরিবেশ প্রয়োজন। বাংলাদেশের তরুণদের সংগ্রামের সাহসিকতা এবং আত্মত্যাগ আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। এই তরুণদের যাত্রাপথের সঙ্গী হতে এবং সমর্থন করতে আমরা প্রস্তুত।’
তিনি আরও বলেন, তথ্য অনুসন্ধান বা ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের মাধ্যমে তরুণদের সঙ্গে ইতোমধ্যে আমাদের যাত্রা শুরু হয়েছে। মানবাধিকারের দৃষ্টিকোণ থেকে প্রতিষ্ঠান নির্মাণ, নাগরিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং উত্তরণের প্রক্রিয়াগুলোতে আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারকে সহায়তা করতে চাই।’
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ঢাবি ক্যাম্পাসে সংঘটিত জুলাই-আগস্টের নৃশংস ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করতে ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে এই তদন্ত কমিটি জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান দলকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা করবে।
এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদসহ ঢাকার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/ইই