সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইআইসিটি) ভবনের ক্যাফেটেরিয়াটি প্রায় আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে ক্লাস-পরীক্ষার ফাঁকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার খেতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে এটি খুলে দেওয়ার দাবি উঠলেও কোনো উদ্যোগ নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, আইআইসিটি ভবনে সফটওয়্যার প্রকৌশল, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ এবং ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসহ সব মিলিয়ে সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষার জন্য যাতায়াত রয়েছে। আইআইসিটিসহ তিনটি বিভাগ মিলে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীও রয়েছে প্রায় একশত। এতে প্রতিদিন কয়েক’শ মানুষ খাবার খেয়ে থাকেন ক্যাফেটেরিয়ায়। কিন্তু গত আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে ক্যাফেটেরিয়াটি বন্ধ থাকায় সংশ্লিষ্ট সকলের খাবার খেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ক্যাফেটেরিয়াটির কলাপসিবল গেট তালাবদ্ধ রয়েছে। ভেতরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও গোছানো টেবিল-চেয়ার চোখে পড়ে। এসময় কয়েকটি বিভাগের শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী মিলিয়ে অন্তত ১০ জনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, খাবারের অসুবিধা থাকায় ক্লাস কিংবা দাপ্তরিক কাজের স্বল্প বিরতিতে মেসে, বাসায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া কিংবা বাইরের হোটেলে খেতে হয় তাদের। এতে পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায় না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে সাবেক অধ্যাপক উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের আন্দোলনের পর দুই মাস চালু থাকলেও এরপর থেকে ক্যাফেটেরিয়াটি বন্ধ করে রাখে তৎকালীন প্রশাসন। পরে এটি চালু করার উদ্যোগ নেয়নি আইআইসিটি কর্তৃপক্ষ। তাই আড়াই বছর ধরে এখন পর্যন্ত এটি বন্ধই রয়েছে।
ক্যাফেটেরিয়া চালুর দাবি জানিয়ছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুর রহমান বলেন, ‘২০২২ সালের আন্দোলন পর থেকেই মূলত ক্যাফেটেরিয়াটি বন্ধ। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিশুদ্ধ খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ভোগান্তি কমাতে ক্যাফেটেরিয়াটি চালু করা উচিত।’
আইআইসিটির পরিচালক ও কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মোমিন বলেন, ‘আগামী ২৬ নভেম্বর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে আমাদের একটি সাধারণ মিটিং রয়েছে। সেই মিটিংয়ে আমরা আলোচনা করবো কীভাবে এটি চালু করা যায়।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা দাবি জানিয়েছে। শিগগিরই ক্যাফেটেরিয়াটি চালুর ব্যবস্থা করা হবে।’
বিডি প্রতিদিন/এমআই