ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেছেন, সকলের পরামর্শ ও অংশীদারের ভিত্তিতে সংস্কারের মাধ্যমে একটি শিক্ষার্থীবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে চাই। একটি পিছিয়ে পড়া জনপদে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়কে শুধু শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমেই আন্তর্জাতিক মানে পরিণত করা যায়। আমি বিশ্বের আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল অনুসরণ করে কাজ করবো। আমি বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি উন্নয়নের সড়কে নিয়ে আসবো।
আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন উপাচার্য।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬ বছরের পথচলায় সবাই অবদান রেখেছে। সকলের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় এই পর্যায়ে এসেছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন হয়েছে এবং শহীদ হয়েছে সেই শহীদের প্রতিজ্ঞা বাস্তবায়নে কাজ করতে চাই। আমাকে এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। তাই আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে ধারণ করে এগিয়ে যেতে চাই। আগামী দিনের বাংলাদেশ কোনো দলের হবে না। আগামীর বাংলাদেশে হবে মানুষের বাংলাদেশ, সকলের বাংলাদেশ।
এর আগে বেলা ১০টায় কেন্দ্রীয় ফুটবল মাঠে শান্তির প্রতীক পায়রা ও আনন্দের প্রতীক বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। এরপর জাতীয় সংগীত এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা শেষে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে প্রায় আড়াই সহস্রাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এরপর ৩৬টি বিভাগ ও ল্যাবরেটরি স্কুলের দুই দিনব্যাপী শিক্ষা ও গবেষণা প্রদর্শনী উদ্বোধন শেষে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। বক্তব্য শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে।
আলোচনা সভার শুরুতে জুলাই বিপ্লবের ওপর ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। আলোচনা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
এসময় দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আলীনুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লা, ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ.ব.ম সিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলামসহ বিভিন্ন বিভাগের সভাপতি, হলসমূহের প্রভোস্ট, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে যৌথ সঞ্চালনা করেন টিএসসিসির পরিচালক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ও চারুকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. কামরুল ইসলাম।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল