শিক্ষকের চেম্বারে সন্ধ্যায় ছাত্রী থাকা নিয়ে বিতর্কের জেরে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। প্রতিবেদন সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত ওই শিক্ষক-ছাত্রীকে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দীন এ তথ্যটি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বিভাগের একাডেমিক কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠিত হয়েছে। তারা চাঁদাবাজি অভিযোগেরও তদন্ত করবেন।
এর আগে গত ১৪ মে কয়েক সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষক হেদায়েত উল্লাহ তার চেম্বারে এক ছাত্রীর সঙ্গে অবস্থান করছেন। ছাত্রী মাথায় কাপড় পেঁচিয়ে নিজেকে আড়াল করছেন। শিক্ষকও ক্যামেরা থেকে নিজেকে আড়ালের চেষ্টা করছেন। এ ঘটনার পর উভয়ের মধ্যে নেতিবাচক সম্পর্কে প্রশ্ন উঠে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলতে থাকে। এ ঘটনার পরদিন সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিক ও সাবেক সমন্বয়কসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের হুমকি দিয়ে তিন লক্ষাধিক টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলেন ওই নারী। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন অবিযুক্ত দুই সাংবাদিক। তবে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে এদের বিরুদ্ধে মামলা করেন শিক্ষক হেদায়েত উল্লাহ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত