মেঘ থম থম করে কেউ নেই নেই/জল থৈ থৈ তীরে কিছু নেই নেই/ভাঙনের যে নেই পারাপার/তুমি আমি সব একাকার- কিংবদন্তী শিল্পী ভূপেন হাজারিকার ঐতিহাসিক এই গানটির কথা সবাই জানেন। গানটির প্রথম চার লাইনে এখন মিল পাওয়া যায় সিলেট নগরীতে। বৃষ্টি, জলাবদ্ধতা, উন্নয়নের কাজের ভাঙ্গাগড়ার খেলা-সব মিলিয়ে সিলেট নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা দুর্ভোগের দিন কাটাচ্ছেন।
চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল ড্রেনেজ ব্যবস্থা আর যে কয়েকটি ড্রেন আছে সেগুলোও সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে রীতিমত পরিষ্কার করা হয় না। নগরীতে সামান্য বৃষ্টিতে দীর্ঘ সময়ের জন্য জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। সেই সাথে ময়লা আবর্জনায় ড্রেন ভরাট হয়ে যাওয়ায় নোংরা পানিও ছড়িয়ে পড়ে সড়কে। যার কারণে ভোগান্তির মাত্রা আরও বেশি বৃদ্ধি পায়। এসব সমস্যা থেকে কবে মুক্তি মিলবে এমন প্রশ্ন নগরবাসরী?
মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সিলেটে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির কারণে নগরীর উপশহর, সাপ্লাই, সুবিদবাজার, পাঠানটুলা, টিলাগড়, শিবগঞ্জ, তেররতন, মেন্দিবাগসহ নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ ওমর তালুকদার জানান, সিলেটে এখন প্রতিদিন থেমে থেমে বৃষ্টি হবে। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
নগরীর উপশহর বি ব্লকের বাসিন্দা প্রবাসী কাওসার আহমেদ জানান। সোমবার ও মঙ্গলবার রাস্তার উপর ময়লা পানি থাকায় বের হইনি। সিটি কর্পোরেশন থেকে নাগরিক সুবিধা যেভাবে পাওয়ার কথা তা যথাযথভাবে দেয়া হচ্ছে না। এই পরিস্থিতি চলাচল করাই কঠিন ব্যাপার। সেই সাথে ময়লা পানি বাসার ভেতরে প্রবেশ করে। আসলে বিষয়টা মানবিক দিক থেকে বিবেচনা করে সমাধানের উদ্যোগ নেয়া জরুরী। করোনা পরিস্থিতি এখন দুভোর্গ বাড়াচ্ছেন জলাবদ্ধতা।
টিলাগড় এলাকার বাসিন্দা ইফতি সিদ্দীকি বলেন, একটি সমস্যা সমাধান করে অন্য কাজে লাগা যথাযথ হবে বলে তিনি মনে করেন। জলাবদ্ধতা একটি বিরাট সমস্যা। এই সমস্যা দীর্ঘদিন থেকেও সমাধান হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব সহকারে চিন্তা করা উচিত।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত