সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন দাখিল একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হলেও গত তিন মাসে তা বাস্তবায়নে কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ দেখা যায়নি। তাই দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের এই সন্ধিক্ষণে স্বাস্থ্য খাত সংস্কারের পরিকল্পনা থেকে বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে যৌথভাবে এক নীতি সংলাপের আয়োজন করে পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি), ইউএইচসি ফোরাম এবং ইউনিসেফ। এতে জনস্বাস্থ্য, নীতিগত গবেষণা, সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। আলোচনায় মতামত দেন, ড. আমিনুল হাসান, ড. ফিদা মেহরান, অধ্যাপক এম এ ফয়েজ, ড. সৈয়দ লিয়াকত আলী, ড. সৈয়দ আকরাম হোসেন, ড. সৈয়দ আবদুল হামিদ, ড. জাকির হোসেন, ড. সৈয়দ রুবায়েত, ড. আবুল কালাম আজাদ, ড. মোশতাক হোসেন, সাংবাদিক শিশির মোরল, ড. মোহিবুল্লাহ, শায়লা পুরভিন, ড. সাইহা মারজিয়া, ড. ইমরান আহমেদ চৌধুরী, আবদুল হাকিম মজুমদার এবং শাদাব মাহমুদ। তারা সম্মিলিতভাবে দেশের বর্তমান স্বাস্থ্য প্রশাসনের চিত্র, কাঠামোগত দুর্বলতা এবং স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের ধীরগতির বিশ্লেষণ উপস্থাপন করেন।
আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন দাখিল একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হলেও গত তিন মাসে তা বাস্তবায়নে কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এখানে কাঠামোগত সংস্কারের বিষয়গুলো এখনো উপেক্ষিত। পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি স্থাপন করলেও দৃশ্যমান অগ্রগতির অনুপস্থিতি আবারও অতীতের মতো গুরুত্বপূর্ণ নীতিপরামর্শ উপেক্ষিত হয়ে পড়ার শঙ্কা তৈরি করছে। স্বাস্থ্য খাত সংস্কারের যে গতি তৈরি হয়েছে, তা যেন হারিয়ে না যায়। সংস্কার কেবল কল্পনা নয়, এটিকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে।