একেতো বন্যা। বিপন্ন জনজীবন। ভয়ে-আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে মানুষের। এর উপর প্রতিরাতেই বানভাসি মানুষের মধ্যে ছড়ানো হচ্ছে ডাকাত আতঙ্ক। একটি দুষ্টুচক্র রাতদুপুরে সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে। প্রতিরাতেই গ্রামে গ্রামে মসজিদের মাইক ব্যবহার করে ডাকাত প্রবেশের মিথ্যে খবর জানান দেয়া হয়। হট্টগোল হাঁক-চিৎকারে সৃষ্টি করা হয় এক ভীতিকর পরিস্থিতির। তখন পুরো রাত জেগে পাহারা দেন সবাই।
গত সোমবার (২০ জুন) রাতে বাউসী গ্রামে শিকদার বাড়িতে ডাকাত প্রবেশ করেছে বলে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেয়া হয়। একই ঘোষণা বরুণি ও ধরারাই মসজিদের মাইকেও দেয়া হয়। কিন্তু পরে এর কোন বাস্তবতা খোঁজে পাওয়া যায়নি আর। এ পরিস্থিতিতে রাতে নৌকায় অন্যত্র যাওয়া-আসা করা সাধারণ মানুষ, পাহারারত মানুষের দ্বারা অহেতুক হয়রাণির শিকার হন। এমনি একটি ঘটনা ঘটে সোমবার রাতে। নৌকায় করে উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের পীরের বাজারে সদাই নিতে এসে সন্ধ্যে হয় পার্শ্ববর্তী জগন্নাথপুর উপজেলার শ্রীরামসি গ্রামের দুই যুবকের। রাতে বাড়ি ফেরার সময় তারা বাউসী ও বরুণি গ্রামের পাহারারত মানুষের তোপের মুখে পড়েন। তাদেরকে ডাকাত বলে ধাওয়াও করা হয়। পরে তারা ভয়ে কোনমতে বাউসী গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন।
সচেতন মানুষরা বলছেন, প্রতিরাতেই শুনি এ গ্রাম-ওই গ্রামে ডাকাত এসেছে। গত রাতে ডাকাতি হয়েছে অমুক-তমুক এলাকায়। কিন্তু পরে আর এসব খবরের সত্যতা পাওয়া যায় না। এগুলো সবই গুজব। এর আড়ালে কি হচ্ছে? বা হবে সে বিষয়ে থানা পুলিশকে সর্তক অবস্থানে থাকতে হবে। সেই সাথে গুজব যারা রটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ বিষয়ে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইনচার্জ গাজী আতাউর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এটি সর্ম্পূণ গুজব। একটি স্বার্থানেষী মহল উদ্দেশ্যমূলক ভাবে এ গুজব ছড়াচ্ছে। যারা এগুলো করছে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল