চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী যথা সময়ে অফিসে না আসা, বিকাল ৫টার আগেই অফিস ত্যাগ করা, কখনো অফিসে এসেই চলে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। ফলে অফিসের অভ্যন্তরে তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা। অনেক দায়িত্বশীলদের মধ্যে বাড়ে অফিস না করার প্রবণতা। ফলে নাগরিকরা বঞ্চিত হন সেবা থেকে।
তবে এবার চসিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে উপস্থিতি ও প্রস্থান যথা সময় নিশ্চিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে উপস্থিতি ও প্রস্থান নিশ্চিত করতে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ফিঙ্গার মেশিন বসানো হচ্ছে।
গতকাল বুধবার থেকে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষরে ‘ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে অফিসে উপস্থিতি ও প্রস্থান নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক চিঠি ইস্যু করেন। আজ বৃহস্পতিবার থেকে চসিকের সকল বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে অফিসে উপস্থিতি ও প্রস্থান নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চসিকের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঠিক সময়ে অফিসে না আসলে অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা নষ্ট হয়ে যায়। তাই এখন থেকে ফিঙ্গার প্রিন্টারের মাধ্যমে অফিসে প্রবেশ ও প্রস্থান করতে হবে। এ ব্যাপারে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইস্যুকৃত নির্দেশনা না মানলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা চাই কর্মরতদের নিয়মিত উপস্থিতি। তারা উপস্থিত থাকলেই তো নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা যাবে।
জানা যায়, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে যথা সময়ে না আসার বিষয়টি নিয়মে পরিণত হয়। ফলে ২০১৭ সালে বায়োমেট্রিক মেশিনের মাধ্যমে কর্মস্থলে উপস্থিতি নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেয় চসিক। তখন টানা তিনদিন অফিসে বিলম্ব করে আসলে বা সময়ের আগে বের হয়ে গেলে একদিনের ছুটি কাটার নিয়ম করা হয়। ওই সময় কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।
তখন প্রতিমাসে ১৫ থেকে ২০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী বিলম্বের জন্য জরিমানা দিতেন। কিন্তু গত বছরের ২৬ মার্চ করোনার কারণে বন্ধ হয়ে যায় ফিঙ্গার মেশিন পদ্ধতি। পরে এটি আর পুনরায় চালু করা হয়নি। তাছাড়া একই মেশিন সবাই ব্যবহার করায় করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থাকায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে সাময়িকভাবে মেশিন ব্যবহার না করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। ফলে বন্ধ থাকে ফিঙ্গার প্রিন্ট মেশিন পদ্ধতি।
বর্তমানের চসিকের প্রধান কার্যালয়ে তিনটি বায়োমেট্রিক মেশিন থাকলেও একটি বিকল। তবে আটটি রাজস্ব সার্কেল, স্বাস্থ্য বিভাগ, যান্ত্রিক ও বিদ্যুৎ বিভাগ এবং ৪১ ওয়ার্ড কার্যালয়ে বায়েমেট্রিক মেশিন নেই। তবে এসব কার্যালয়ে মেশিন স্থাপনে একটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন বলে জানা যায়।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর