৩০ মার্চ, ২০২৩ ২১:০৫

চট্টগ্রামে অল্প বৃষ্টিতে বড় ভোগান্তি

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে অল্প বৃষ্টিতে বড় ভোগান্তি

চট্টগ্রামে গতকাল বুধবার দুপুরে মাত্র ১৫ মিনিট বৃষ্টি হয়। ১৫ মিনিটের বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় নগরের অনেক নিম্নাঞ্চল। ফলে রমজানের সময় মানুষকে অল্প বৃষ্টিতেই বড় ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। কাঁদা মাটি ও পানি মাড়িয়ে নগরবাসীকে চলাচল করতে হয়েছে সড়ক এবং ফুটপাত দিয়ে। 

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নগরের জলাবব্ধতা নিরসনে খাল নালা ড্রেন-পরিষ্কার করে থাকে।

অভিযোগ আছে, জলাবদ্ধতা নগরবাসীর কপাল লিখন হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত তিন দশক ধরেই নগরবাসীকে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলো প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা বললেও তার আশানুরূপ সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে প্রতি বর্ষা মৌসুমেই নগরবাসীকে জলাবদ্ধতার মতো অচিন্তনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

পতেঙ্গার আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে-গত বুধবার দুপুরে টানা ১৫ মিনিট মুষলধারে বৃষ্টি হয়। এতেই নগরের অনেক নিচু এলাকায় পানি জমে যায়, তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। অল্প বৃষ্টিতেই নগরের পূর্ব ষোলশহর ওমর আলী মাতব্বর লেইন, চকবাজার কাপাসগোলা সড়ক, শুলকবহর, দক্ষিণ বাকলিয়া ইছাহাকের পুল সংলগ্ন রাস্তা, কতালগঞ্জ, প্রবর্তকসহ শহরের বিভিন্ন নিচু এলাকায় পানি জমে যায়।

শুলকবহর এলাকার বাসিন্দা সাইফল ইসলাম বলেন, বর্ষা মৌসুমের আগে অল্প বৃষ্টিতেই পানি জমে গেছে। আগামী বর্ষায় আমাদের কী অবস্থা হবে তা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। এখন থেকেই শঙ্কায় আছি।   

চসিকের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, গত দুই মাস ধরে আমরা সিডিএকে বার বার বলে আসছি, খালের ওপর থাকা মাটিগুলো অপসারণ করতে। কিন্তু তারা তা করেনি। ফলে পানি দ্রুত নদীতে অপসারণ হতে পারছে না। আমরা সিডিএকে অনুরোধ করছি, বর্ষার আগেই যাতে মাটিগুলো অপসারণ করা হয়। অন্যথায় আগামী বর্ষায়ও আমাদের জলাবদ্ধতার ভোগান্তি পোহাতে হবে।

জানা যায়, জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার একটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের অধীনে নগরের ৩৬টি খালের উন্নয়ন, খনন ও সংস্কার করা হচ্ছে। কিন্তু সংস্কারকালে খাল থেকে খনন করা মাটিগুলো খালের মধ্যেই রাখা হয়েছে। ফলে নগরের পানিগুলো দ্রুত কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে পড়তে পারে না। পানিগুলো বাঁধের কারণে আটকে যায়। অন্যদিকে, মেগা প্রকল্পের বাইরে থাকা আরও ২১টি খাল চসিক নিয়মিত সংস্কার ও পরিষ্কার করার কথা। কিন্তু তারা কাজটি নিয়মিত করে না বালে অভিযোগ আছে। উল্টো চসিকও নগরের শীতলঝর্ণা খাল, বামুনশাহী খাল ও গয়না ছড়া খালের মতো গুরুত্বপূর্ণ তিনটি খালের ওপর বাঁধ দিয়েছে। কয়েক মাস আগে সংস্কার কাজ শেষ হলেও বাঁধ ও রিটেইনিং ওয়ালের বেইস করার সময় উত্তোলনকৃত মাটি অপসারণ করেনি চসিক। ফলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির পাশাপাশি জনভোগন্তির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর