হলমার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদসহ ২২ বিবাদীর স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করতে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছেন আদালত। রবিবার ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতের মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন সোনালী ব্যাংকের আবেদনের করণে আগমী ১৫ কার্যদিবষের মধ্যে বিবাদীদের কারণ দর্শানোর জন্য এ আদেশ দেন।
এর আগে ২০১৪ সালের ২৫ আগস্ট বিবাদীদের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংক ৬৮২, ২৯, ৬৪, ২২৫ টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ মামলা করে। ব্যাংকের পওনা বাবদ বিবাদীদের বন্ধকী সম্পত্তি না থাকায় বিবাদীদের স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তি খুঁজে বের করে ক্রোক করার আবেদন করে সোনালী ব্যাংক। সোনালী ব্যাংকের পক্ষে আবেদনটি করেন সোনালী ব্যাংক হোটেল শেরাটন শাখার সিনিয়ার প্রিন্সিপাল অফিসার আব্দুস সালম। আবেদনে বিবাদীদের প্রায় ৮২০০ শতক জমির ক্রোকের কথা করা হয়েছে। এছাড়া ভবন ও মেশিনারিসহ ক্রোক করা সাম্পাত্তির আনুমানিক মূল্য প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা।
বিবাদীরা হলেন আনোয়ারা স্পিনিং মিলস, আনোয়ারা স্পিনিং মিলসের সত্ত্বাধিকারী জাহাঙ্গীর আলম, হলমার্ক ফ্যাশন লিমিটেড, হলমার্ক ডিজাইন ওয়্যার লিমিটেড, হলমার্ক ফ্যাশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তানভীর মাহমুদ, হলমার্ক ফ্যাশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, সেঞ্চুরি ইন্টারন্যাশনাল, সেঞ্চুরি ইন্টারন্যাশনালের সত্বাধিকারী জিয়াউর রহমান, বেগম শাহনাজ রহমান, সোনালী ব্যাংক হোটেল শেরাটন শাখার সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার সাইফুল হাসান, সাবেক অফিসার আব্দুল মতিন, সাবেক সিনিয়র অফিসার মেহেরুন্নেসা মেরী, সোনালী ব্যাংকের সাবেক ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও হুমায়ুন কবির, তাছলিমা বেগম, সোনালী ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাইনুল হক, সোনালী ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের সাবেক জেনারেল ম্যানেজার ননী গোপাল নাথ, সোনালী ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের সাবেক জেনারেল ম্যানেজার শফিজ উদ্দিন আহমেদ, সোনালী ব্যাংকের সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার কামারুল হোসেন খান, সোনালী ব্যাংকের সাবেক জেনারেল ম্যানেজার মীর মহিদুর রহমান, সোনালী ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শেখ আলতাফ হোসেন, মের্সাস পেপার হাউজ এবং এম কমার্শিয়ালের সত্ত্বাধিকারী তুষার আহমেদ ও সাভারের ১০নং তেঁতুলজোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন সরকার।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৬ মার্চ, ২০১৬/ রশিদা