পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক বলেছেন, বিতর্কিত, টাউট-বাটপার, চোরাচালানি, মাদক ব্যবসায়ী, সমাজে গ্রহণযোগ্যতা নেই এমন কাউকে কমিউনিটি পুলিশের সদস্য করা যাবে না। একই সঙ্গে পুলিশের দালাল, থানায় গিয়ে যারা দালালি করে তাদেরকেও কমিউনিটি পুলিশে যুক্ত করা যাবে না। তাদের কাছ থেকে ভাল কোনো কাজ আশা করা যায় না। ভাল কাজ করতে হলে ভাল মানুষ লাগবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের লালদীঘি ময়দানে চট্টগ্রাম মহানগর কমিউনিটি পুলিশিং সমন্বয় কমিটি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশ উদ্বোধন করেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর কমিউনিটি পুলিশের সমন্বয়কারী, সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য। বক্তব্য রাখেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম, সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার, চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার নূর ই আলম মিনা, মহানগর কমিউনিটি পুলিশ সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব অহীদ সিরাজ স্বপন। সমাবেশের শুরুতে সিএমপির সাংস্কৃতিক স্কোয়াড ‘পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ’ শীর্ষক থিম সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
প্রধান অতিথি বলেন, রাজনীতিবিদদের নিয়ে অনেকে নেতিবাচক কথা বলেন। কিন্তু পলিটিশিয়ানদের মধ্যে যারা ভাল লোক তাদের অবশ্যই কমিউনিটি পুলিশে রাখতে হবে। ভাল রাজনীতিবিদ এবং জনপ্রতিনিধি যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন তাদের কমিটিতে রাখতে হবে।
পুলিশের উদ্দেশ্যে আইজিপি বলেন, প্রত্যেক ঘটনায়, কাউকে গ্রেফতার করলেই মামলা করার প্রয়োজন নেই। মামলা কখনও শান্তি আনে না। যিনি মামলা করেন আর যার বিরুদ্ধে মামলা হয় উভয়ই সর্বশান্ত হয়। নিস্পত্তি এবং বিচার এই দুটোর পার্থক্য বুঝতে হবে। আপনি নিস্পত্তি করতে পারবেন, বিচার করতে পারবেন না। বিচারের দরকার নাই, নিস্পত্তি করুন।
আইজিপি একেএম শহীদুল হক বলেন, কমিউনিটি পুলিশ ভারতে আছে, লন্ডনে আছে। বিভিন্ন দেশে আছে। কমিউনিটি পুলিশ শুধু পুলিশের জন্য নয়, এটা জনগণের জন্য। কমিউনিটি পুলিশিংকে বলা হয় সমস্যার সমাধানমূলক পুলিশিং যেটা প্রথাগত পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়। এটা কোন প্রজেক্ট নয়, কোন প্রোগ্রাম নয়।