নৌমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পরও লাইটার জাহাজ শ্রমিকদের একাংশের ডাকা কর্ম বিরতির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণে আগামী কাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় শ্রম পরিদপ্তরে শ্রম পরিচালকের সাথে আরেকটি সভা আহ্বান করা হয়েছে। ওই সভায় লাইটার জাহাজ মালিক ও শ্রমিকদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। সেই সভা থেকে একটি সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে আশাবাদি আন্দোলনকারী শ্রমিক ও মালিক সংগঠনের নেতাদের। এদিকে টানা দুই দিনের কর্ম বিরতির কারণে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে পণ্য খালাস ব্যবস্থা।
আজ সোমবার নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের সাথে সভার বিষয়ে ধর্মঘট আহ্বানকারী লাইটার জাহাজ শ্রমিক ইউনিয়নের একাংশের নেতাদের সাথে সভা হয়েছে বলে জানান সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, সভায় লাইটার জাহাজ মালিক সমিতির প্রতিনিধিরা সময় চেয়েছেন। শ্রমিকদের দেয়া কাগজপত্র মন্ত্রী পরীক্ষা করে দেখেছেন। মঙ্গলবার শ্রম পরিচালকের দপ্তরে সভা হবে। বর্ধিত বেতন-ভাতার কথা বলে মালিকরা ১ জানুয়ারি থেকে লাইটারের ভাড়া বাড়িয়ে নিচ্ছে। এ জন্য আমরা গত মাসেই লিখিতভাবে মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছিলাম। ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বর্ধিত বেতন-ভাতা পরিশোধের কথা থাকলেও অনেক মালিক তা করেননি। আশা করি শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি পূরণ হবে।
জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে সারাদেশে চলাচলকারী প্রায় দেড় হাজার লাইটার জাহাজ আছে। এসব জাহাজের মালিক প্রায় আটশজন। এগুলোসহ সারাদেশের সব নৌরুট মিলিয়ে প্রায় ছয় হাজার লাইটার জাহাজ চলাচল করে। লাইটার জাহাজ মালিকদের পাঁচটি সংগঠন রয়েছে। এর মধ্যে দুটি ট্যাংকার, একটি কোস্টার, একটি কার্গো এবং একটি খুলনা এলাকার লাইটার মালিকদের সংগঠন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার