রাজধানীর কলাবাগন থানায় করা পাবলিক পরীক্ষা ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় ছয় আসমিকে চার দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমাতি দিয়েছেন আদালত। আজ ঢাকা মহানগর হাকিম নুরুন্নাহার ইয়াসমিন এ আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক আবদুস সোবহান আসামিদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে সাতদিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।
আসামিরা হলেন, রাজু আহমেদ, ফয়সালুর রহমান ওরফে আকাশ, জোহায়ের আয়াজ, মহিউদ্দিন ইমন, স্বাধীন আল মাহমুদ ও কাজী রাশেদুল ইসলাম ওরফে রনি।
রিমান্ড শুনানীতে আদালতে বলা হয়, আসামিরা ‘ভুয়া আইডি’ থেকে ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের পেজ খুলে ভুয়া প্রশ্নপত্র পরীক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতেন। পরে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়। এসময় আসামিদের কাছ থেকে ল্যাপটপ, সিপিইউ, রাউটার, মোবাইল ফোন ও সিমকার্ড জব্দ করে পুলিশ।
আসামিরা ফেসবুক মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ভুয়া প্রশ্নপত্র সরবরাহ করে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করে আসছিলেন। তারা ‘এসএসসি, এইচএসসি প্রশ্ন বাজার’, ‘এসএসসি প্রশ্ন ২০১৭ ঢাকা বোর্ড, বাজার’, ‘এসএসসি প্রশ্ন ২০১৭ বরিশাল বোর্ড’ নামের বিভিন্ন গ্রুপের অ্যাডমিন। তারা ১০০ শতাংশ কমন পড়বে বলে এসব গ্রুপে স্ট্যাটাস দেয়। ফলে অনেক শিক্ষার্থী তা দেখে আকৃষ্ট হয়ে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে একেক পরীক্ষার জন্য একেক মেসেঞ্জার খুলে ভুয়া প্রশ্ন শেয়ার করে সাধার শিক্ষার্থীদের ধোঁকা দিয়ে বোকা বানিয়ে অবৈধ ভাবে লাভবান হয়েছে। আসামিদের এ প্রতারণার কারণে অনেক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়েছে। তাই মামলার সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
বিডি প্রতিদিন/১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/হিমেল