দেশে প্রথমবারের মত চট্টগ্রাম আদালতে বিচারপ্রার্থী মহিলাদের জন্য ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার চালু করা হয়েছে। একই সঙ্গে চালু করা হয়েছে অনুসন্ধান ও তথ্য সেবা কেন্দ্র এবং বিনামূল্যে পানীয় পানের ব্যবস্থা। চট্টগ্রাম আদালতের নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শাহজাহান কবিরের উদ্যোগে এসব সেবা চালু করা হয়। সিএমএম কোর্টের অধীনে ৮টি কোর্টের বিচারপ্রার্থীরা এসব সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। গত রবিবার থেকে সেবাসমূহ চালু হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আদালতে দৈনিক প্রচুর সংখ্যক মহিলা বিচারপ্রার্থী মামলা সংক্রান্ত কাজে আসেন। এর মধ্যে থাকেন মায়েরাও। স্থান অভাবে বিচারপ্রার্থী মায়েদের কোলাহল মুক্ত স্থানে বাচ্চাদের খাবার খাওয়ানোর সুযোগ পান না। ব্রেস্ট ফিডিং কর্নারের মাধ্যমে মাদের জন্য একটি পৃথক স্থান করা হলো। অন্যদিকে, যে সব মামলা নিষ্পত্তির জন্য বিচার ফাইলটি কোন কোর্টে যাবে তা বিচারপ্রার্থীরা তা জানেন না। কিন্তু এবার অনুসন্ধান ও তথ্য সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে মামলার অবস্থান জানাতে সিএমএম কোর্টের দ্বিতীয় তলায় বোর্ডে টাঙানো হবে তালিকা।
সিএমএম কোর্টের পেশকার নুরে খোদা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জনবান্ধব বিচার প্রতিষ্ঠার অংশ হিসাবে আদালত নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে বিচারপ্রার্থী মা’দের জন্য ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার, অনুসন্ধান ও তথ্য সেবা কেন্দ্র এবং সুপেয় পানীর ব্যবস্থা করা হয়। আশা করছি অতীতে সেবা কেন্দ্রীক যে সব সমস্যা ছিল তা এখন নিরসন হয়েছে।
জানা যায়, মহানগর ম্যাজিস্ট্রেসিতে আটটি আদালত আছে। ২০১৬ সালে আদালতগুলোতে ২৬ হাজার ৭২৭টি মামলা দায়ের হয়। তাছাড়া পূর্বের দায়েরকৃত ২২ হাজার ৭৮৮টিসহ মোট মামলার সংখ্যা ৪৯ হাজার ৫১৫টি। এর মধ্য থেকে নিষ্পত্তি হয় ২৪ হাজার ৯৫১টি মামলা, নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে ২৪ হাজার ৫৬৪টি। এসব মামলা দায়েরে প্রতিদিন আদালতে অসংখ্য বিচারপ্রার্থী আসেন। এর মধ্যে থাকেন মহিলাও। কিন্তু এসব বিচারপ্রার্থীদের জন্য এসব প্রয়োজনীয় সুবিধাসম্পন্ন স্থান ছিল না।
জানা যায়, সিএমএম মোহাম্মদ শাহজাহান কবির চট্টগ্রামে যোগ দিয়ে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এর মধ্যে আদালতে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে পড়ে থাকা (১৯৯৩ সালের) মামলার রায় দেওয়া এবং দশ বছর ধরে অনিষ্পন্ন থাকা মামলা নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেন।এবার তিনি আদালতে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নানা সেবার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার