কোরবানির গবাদি পশু বহনকারী গাড়িতে পুলিশের কোনো চাঁদাবাজির সহ্য করা হবে না। গাড়িতে আগে অনেক চাঁদাবাজি হতো। এখন এটা একেবারেই মেনে নেওয়া হবে না। একই সঙ্গে কোরবানির পশু বহনকারী পরিবহন থামিয়ে তল্লাশির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তাই পশু বহনকারী গাড়িকে সিগন্যাল দেওয়া যাবে না। তবে মিয়ানমার-টেকনাফ থেকে পশু নিয়ে আসা ট্রাকে যদি মাদক কিংবা এক্সক্লুসিভ কোন তথ্য থাকে, তাহলে এএসপি এবং ওসির নেতৃত্বে টিম সেটা থামাবেন। কোন ধরনের হয়রানি না করে তল্লাশি করবেন।
আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, কোরবানির পশুর হাটের নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রেজাউল মাসুদ, একেএম এমরান ভূঁইয়া, পূর্বাঞ্চলীয় সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মৃণাল চৌধুরী, সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব মঞ্জুরুল আলম, জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. মুছা প্রমুখ।
সভায় এসপি বলেন, ‘আমি ওসিদের বলেছি, এই ব্যাপারে আমাদের শূন্য টলারেন্স। কোনোভাবেই কাউকে ছাড় দেব না। বিভিন্ন গরুর বাজারে আমাদের সাদা পোশাকে পুলিশ, ডিএসবির টিম থাকবে, নিজস্ব গোয়েন্দা থাকবে। আপনাদের সবার কাছে মোবাইল আছে। কেউ যদি চাঁদা দাবি করে, দয়া করে ছবি তুলে আমাদের দিন। আমরা যদি উপযুক্ত অ্যাকশন না নিই তাহলে আমরা আপনাদের কাছে জবাবদিহি করব।’
সভায় পরিবহন শ্রমিক নেতারা অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ ঈদকে সামনে রেখে রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে বিভিন্ন ধরনের হয়রানি করে। এখানে যদি থানার পুলিশ থামায়, আবার ১০০ গজ দূরে গিয়ে হাইওয়ে পুলিশ থামায়, এটা আমাদের জন্য অনেক বড় বিড়ম্বনা। পুলিশ রুটিন ওয়ার্ক করবে, কিন্তু হয়রানি যেন না করে, যেন টাকা না চায়।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন