বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের দিনকে কেন্দ্র করে খুলনায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সড়কে সাধারণ মানুষের চলাচল কমে গেছে। খুলনা থেকে দূরপাল্লার কোন বাস ছেড়ে যায়নি। অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম। গত ২৪ ঘণ্টায় মহানগর ও জেলায় আটক হয়েছে ৮৫ জন। নগরজুড়ে চলছে র্যাব-পুলিশের টহল ও তল্লাশি। এছাড়া রূপসা ঘাট, জেলখানা ঘাট, পথের বাজার, গল্লামারী, রয়্যাল মোড়, শিববাড়ি মোড়, ডাকবাংলো মোড়সহ ৩৬টি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাদা পোশাকে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ৪ প্লাটুন বিজিবি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তাদের সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
এদিকে, বিএনপি মাথায় কাফনের কাপড় বেধে অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দিলেও সকাল থেকে তাদের রাজপথে দেখা যায়নি। তবে দলীয় কার্যালয়ে তাদের উপস্থিতি দেখা গেছে। পুলিশ বিএনপি কার্যালয়ের দু’পাশে ব্যারিকেড দিয়ে অবস্থান নিয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দলীয় অফিসের সামনে অবস্থান নিয়েছে। ছাত্রলীগের কর্মীরা মাঝে মধ্যে মোটরসাইকেলে করে রাজপথে মহড়া দিচ্ছে।
অপরদিকে, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) বুধবার ভোর থেকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত মহানগরীতে সব ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শন থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে। কেএমপি’র সহকারি পুলিশ কমিশনার রাকিবুল ইসলাম জানান, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮/মাহবুব