রাজশাহী থেকে সরাসরি ট্রেন, বিমান ও নৌ-যোগাযোগের ব্যাপারে বাংলাদেশ- ভারত আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জিব ভাট্টি। রাজশাহী-কলকাতা সরাসরি বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব হলে কম সময়ের মধ্যে যাওয়া-আসা যাবে। বিমান, ট্রেন ও নৌপথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের ব্যাপারে দুই দেশের সরকারের মধ্যে আলাপ আলোচনা হচ্ছে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসে সঞ্জিব ভাট্টি একথা জানান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নগর ভবনে মেয়র দপ্তর কক্ষে গণমাধ্যম কর্মীদের একথা জানান তিনি।
মেয়র বলেন, চিকিৎসা ও দর্শনীয় স্থানসমূহে পরিদর্শনে বিপুল সংখ্যক মানুষ রাজশাহী থেকে ভারতে যান। কিন্তু রাজশাহী থেকে সরাসরি ট্রেন ও বিমান ও নৌ-যোগাযোগ নেই। আমি চাই সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থার। পদ্মা নদীতে ইতোমধ্যে ড্রেজিং শুরু হয়েছে। নৌপথেও কম সময়ে আমরা ভারতে যেতে পারি। এ সময় ভিসা প্রক্রিয়া সহজকরণ ও বর্ডারে বাংলাদেশি মানুষের বিড়ম্বনা এড়ানোর পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানান মেয়র।
এসব বিষয়ে ভারতের সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জিব ভাট্টি বলেন, ভিসা প্রক্রিয়া সহজ ও বর্ডারে বিড়ম্বনা এড়াতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। কেবলমাত্র অসম্পূর্ণ আবেদন ও ভুয়া ডকুমেন্টের কারণে অনেক আবেদন বাতিল হয়। যদি ভিসা প্রাপ্তির আবেদন সঠিক ও পরিপূর্ণ হয়, তবে ৮দিনের মধ্যেই ভিসা প্রদান করা হবে। মেডিকেল ভিসা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব প্রদান করা হবে।
রাজশাহী থেকে সরাসরি ট্রেন ও বিমান ও নৌ-যোগাযোগের ব্যাপারে সহকারী হাইকমিশনার বলেন, রাজশাহীতে আরও ভালো ও বেশি পর্যটনকেন্দ্র গড়ে উঠলে ভারত থেকেও এখানে পর্যটকেরা আসবেন। আমি ভারতীয় নাগরিকদের এখানে আসতে উৎসাহিত করবো। এ সময় রাজশাহীর পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশের ভূয়শী প্রশংসা করেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার।
সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে বঙ্গবন্ধু কর্ণার পরিদর্শন করেন ভারতের সহকারী হাইকমিশনার। এ সময় মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন তাকে বঙ্গবন্ধু কর্নার ঘুরে দেখান। পরিদর্শন শেষে মন্তব্য বইয়ে মন্তব্য লিখেন সহকারী হাইকমিশনার।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন