আলোচিত যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের সাত দেহরক্ষীকে মানি লন্ডারিং মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রাজধানীর গুলশান থানার এই মামলায় মঙ্গলবার তাদের জামিনের আবেদন নাকচ করে ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহছান চৌধুরী এ আদেশ দেন।
দেহরক্ষীরা হলেন- দেলোয়ার হোসেন, মুরাদ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, সহিদুল ইসলাম, কামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন ও আমিনুল ইসলাম।
জানা যায়, মঙ্গলবার তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়ার সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ। অপরদিকে তাদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গুলশান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রবিকুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে ২৬ সেপ্টেম্বর সাত দেহরক্ষীকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। সে সময় গুলশান থানায় মানি লন্ডারিং আইনে দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী আসামিদের ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
অপরদিকে, একই থানায় দায়ের হওয়া অস্ত্র মামলায় ওই সাতজনকে পৃথক আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসামিদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
২১ সেপ্টেম্বর অবৈধ অস্ত্র ও মাদক মামলায় আলোচিত যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর মধ্যে অস্ত্র মামলায় পাঁচদিন ও মাদক মামলায় পাঁচদিন। এছাড়া সাত দেহরক্ষীকে অস্ত্র মামলায় চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গত ২০ সেপ্টেম্বর যুবলীগ নেতা জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে আটক করে র্যাব। পরদিন তাদের গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম