২১ জানুয়ারি, ২০২০ ২০:৫৩

আরবি পড়তে যাওয়ার পথে কিশোরীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :

আরবি পড়তে যাওয়ার পথে কিশোরীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ

আটক আনিসুর রহমান শ্যামল

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় আরবি পড়তে যাওয়ার পথে তুলে নিয়ে ফ্ল্যাট বাসায় এক কিশোরীকে আটক রেখে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কিশোরীর পরিবারকে মীমাংসায় বসার হুমকি দেয়ায় আনিসুর রহমান শ্যামল নামে ইউনিয়ন যুবলীগের এক ভারপ্রাপ্ত সভাপতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরে কাশিপুর ইউনিয়নের খিলমার্কেট এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। 

শ্যামল কাশিপুর ইউনিয়ন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং একই ইউনিয়নের নূর মোহাম্মদের ছেলে। পরে ধর্ষক তুর্জকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। এঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে দু’জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এদিকে দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানায় ধর্ষণকারী তুর্জ ও যুবলীগ নেতা শ্যামলের ছবি তুলতে গেলে শ্যামলের পালিত সন্ত্রাসীরা গণমাধ্যম কর্মীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী আহত হয়। পরে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ লিটন নামের এক যুবলীগ ক্যাডারকে আটক করেছে। যুবলীগ নেতা আনিসুর রহমান শ্যামল ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সাইফউল্লাহ বাদলের ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, ১৪ বছর বয়সের কিশোরী বাড়ির কাছে আরেকটি বাড়িতে আরবি পড়েন। পড়তে আসা যাওয়ার পথে প্রায় সময় খিলমার্কেট এলাকার মৃত মনির হোসেনের ছেলে তুর্জ (১৯) পথরোধ করে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এবিষয়ে কিশোরীর বাবা-মা কাশিপুর ইউনিয়ন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আনিসুর রহমান শ্যামলের কাছে বখাটে তুর্জের বিচার দাবি করেন। এতে শ্যামল উল্টো কিশোরীর বাবা-মাকে গালি গালাজ করে ভয়ভীতি দেখান। এঘটনার কয়েকদিন পর ১৯ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় আরবি পড়তে যাওয়ার পথে কিশোরীকে রাস্তা থেকে তুলে তুর্জ তাদের ফ্ল্যাট বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে। 

ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম জানান, দুপুরে থানার প্রধান ফটকের সামনে কিছু গণমাধ্যমকর্মীদের উপর হামলার খবর পেয়ে অন্যান্য গণমাধ্যমকর্মীরা ঘটনাস্থলে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে আমরা ধাওয়া করে লিটন নামের এক সন্ত্রাসীকে আটক করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করি।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, ধর্ষণকারী তুর্জ ও তাকে পালিয়ে যেতে সহায়তাকারী যুবলীগ নেতা শ্যামলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুপুরে থানার গেটের বাইরে ছবি তোলার সময়ে শ্যামলের লোকজন হামলা চালিয়েছে। এঘটনায় লিটন নামের একজনকে আটক করা হয়েছে এবং একটি অভিযোগও পেয়েছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর