গাজীপুরে পাওনা টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি, ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে লাথির আঘাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহতের নাম আব্দুর রশিদ (৫২)।
তিনি ময়মনসিংহের তারাকান্দা থানার নেতারাশি এলাকার ফজর আলীর ছেলে।
তিনি গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর নয়াপাড়া এলাকায় এমারত হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থেকে চায়ের দোকান ও সবজি বিক্রি করতেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে কাশিমপুর থানার ওসি মাহবুবে খোদা জানান, পাওনা টাকা নিয়ে গত বুধবার রাত ৮টার দিকে কাশিমপুরের জিতার মোড় এলাকার মসজিদের পাশে আব্দুর রশিদ এবং ওই নয়াপাড়া এলাকার নুরুল ইসলাম সুমনের কাথা কাটাকাটি, ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে সুমন স্বজোরে আব্দুর রশিদের তলপেটে লাথি মারে। এতে আব্দুর রশিদ গুরুতর আহত হন। পরে তাকে দ্রুত স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ওই ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রশিদের অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার বিকালে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান আব্দুর রশিদ। পরে নিহতের স্বজনরা লাশ নিয়ে কাশিমপুর নয়াপাড়া ভাড়া বাসায় নিয়ে আসেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ওই বাসা থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ঘটনার পর থেকে নুরুল ইসলাম সুমন পলাতক রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এ ব্যাপারে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৬নংওয়ার্ড কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান তুলা জানান, আব্দুর রশিদ নয়াপাড়া এলাকার নুরুল ইসলাম সুমনের চাচা এমারত হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকতো। এলাকার এক ব্যক্তি লাথি মারার পর আহত আব্দুর রশিদ শুক্রবার মারা যাওয়ার কথা তিনি শুনেছেন বলে জানান।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত