শিরোনাম
- বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের দাবি ইসলামপন্থীদের ঐক্য : মাসুদ সাঈদী
- চীনকে উড়িয়ে টানা তৃতীয় জয়ে শীর্ষে বাংলাদেশ
- নান্দাইলে বজ্রপাতে পিতা-পুত্রের করুণ মৃত্যু
- বিএনপি নির্বাচিত হলে প্রতিটি ঘরে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে : টুকু
- রাজনীতি হবে দেশের স্বার্থে, জনমানুষের স্বার্থে : আখতার হোসেন
- বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের সফল পরিণতি
- ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
- ইরানে আফগানদের গণবহিষ্কার, ছাড়তে না পারলে গ্রেফতার
- ভেজাল টক দই যেভাবে চিনবেন
- গাজায় চলছে যুদ্ধ, তেলআবিবে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ
- হাসারাঙ্গার বিশ্বরেকর্ড
- হাসিনাসহ ১০০ জনকে আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশ
- চুয়াডাঙ্গায় স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ
- জলমহালের একমাত্র অধিকার প্রকৃত মৎস্যজীবীদের: ফরিদা আখতার
- ১০ম গ্রেডে উন্নীত হচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক
- ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ৩১৭ জন হাসপাতালে ভর্তি
- দেশে ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের করোনা শনাক্ত
- ধর্ষণের শিকার হয়ে বিষ পান করা সেই কিশোরীকে বাঁচানো গেল না
- আমরা আশা করি একটা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারব : সালাহউদ্দিন
- জন্মদিনে ঝড় তুললেন রণবীর, ধুরন্ধর’-এ ফিরলেন ভয়ংকর রূপে
শর্ত না মানায় শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ হারালো শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
অনলাইন ভার্সন

রাজশাহীর শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজে নতুন করে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ ও আগে থেকে যারা সেখানে ভর্তি আছেন তাদের অন্য মেডিকেল কলেজে মাইগ্রেশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ২ নভেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আলাদা দুটিতে চিঠিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
রাজশাহী মহনগরীর খড়খড়ি এলাকায় গড়ে ওঠা শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজটি সাত বছর ধরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। বিএমডিসির অনুমোদন ছাড়াই তারা শিক্ষার্থী ভর্তি করে। এনিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন। এ বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. হাসানুজ্জামান হাসু জানান, বিএমডিসি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ ও আগে থেকে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের অন্যত্র মাইগ্রেশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে তারা শুনেছেন। তবে অফিসিয়ালি তিনি এখনও জানেন না।
জানা গেছে, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল-বিএমডিসির অনুমোদনের দাবিতে রাজশাহীর বেসরকারি শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে ক্লাস বর্জন করে ১৪ দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, গত সাত বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানটিতে অব্যাহতভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হলেও এখন পর্যন্ত মেলেনি বিএমডিসির অনুমোদন। ফলে চারজন শিক্ষার্থী এমবিবিএস পাস করেও ইন্টার্নশিপ করতে পারছেন না। কলেজটিতে ২০০ জন শিক্ষার্থী থাকলেও নেই পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল, ল্যাব ও লাইব্রেরি সুবিধা।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুল ইসলাম স্বাধীন জানান, ‘বিএমডিসির অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। তারা পরিদর্শন করেছে। কিছু শর্ত দিয়েছে। সেগুলো পূরণের চেষ্টা চলছে। হয়তো দ্রুত আমরা অনুমতি পেয়ে যাবো।’
গত ২ নভেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব বদরুন নাহার স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, গত বছরের ১০ মার্চ শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শনের পর যেসব ঘাটতি পূরণের জন্য বলা হয়েছিল, সেগুলোর কোনোটাই বাস্তবায়ন করা হয়নি। এ বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি আবারও পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, ঘাটতিগুলো পূরণে কর্তৃপক্ষের কোনো সদিচ্ছা নেই। ফলে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ছাত্র-ছাত্রী বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলো। এছাড়া বিদ্যমান ছাত্র-ছাত্রীদের রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অন্যান্য বেসরকারি মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর