রংপুরে করোনা টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। যারা করোনা টিকা গ্রহণ করছেন তারা ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড করছেন। তার দেখাদেখি অন্যরাও করোনার টিকা দিতে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। এদিকে বুধবার পর্যন্ত জেলায় ৩ হাজারের বেশি মানুষ টিকা গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠা কয়েকজনকে বুধবার টিকা নিতে দেখা গেছে।
রংপুর সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৭ জানুয়ারি সারা দেশের ন্যায় রংপুরেও করোনার টিকা দেয়া শুরু হয়। রংপুরে প্রথম ধাপে সাত উপজেলায় সাতটি এবং সিটি কর্পোরেশন এলাকার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতারে আটটি বুথের মাধ্যমে টিকা প্রয়োগ শুরু হয়েছে। প্রথম দিন সিটি মেয়র, জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, জিওসিসহ পদস্থ কর্মকর্তারা টিকা গ্রহণ করেন।
চতুর্থ দিনে টিকা গ্রহীতার সংখ্যা প্রথম দিনের তুলনায় বেড়েছে। বুধবার রংপুরের কমপক্ষে ১৫ জন সংবাদকর্মী এই টিকা গ্রহণ করেন। এছাড়া, পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মী, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ অনেকেই টিকা গ্রহণ করেছেন। তবে সাধারণ মানুষের মাঝে টিকা গ্রহণের প্রবনতা এখন কম লক্ষ্য করা গেছে। এখনো অনেক মানুষ রয়েছে দ্বিধাদ্বন্দ্বে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টিকা গ্রহণকারি সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও উপজেলা পর্যায়ে এখন পর্যন্ত তেমন একটা সাড়া পড়েনি বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। অনেকে রেজিস্ট্রেশন করা ঝামেলা মনে করে টিকা নেয়া থেকে বিরত থাকছেন। আবার অনেকে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন।
করোনা থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তি আসাদুজ্জামান, রেজাউল ইসলাম জানান, দ্বিতীয় বার যাতে করোনাায় আক্রান্ত না হই এর জন্য আগে ভাগে টিকা নিয়েছি। কারণ করোনা আমাদের অনেক ভুগিয়েছে।
এদিকে সিভিল সার্জন ডা. হিরন্ব কুমার রায় বলেন, প্রথম দিন আমি টিকা গ্রহণ করেছি। এখন পর্যন্ত ভালো আছি। প্রতিদিন অফিস করছি। তার স্ত্রী বৃহস্পতিবার টিকা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন, টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যাপক সারা পাওয়া গেছে। প্রতিদিনই টিকা গ্রহণকারির সংখ্যা বাড়ছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ