তিস্তা নদীর দুই পাড়ের দুই শতাধিক হাট-বাজারে মানুষ ১০ মিনিট স্তব্ধ কর্মসূচি পালন করেছে। তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের আয়োজনে তিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন ও তিস্তা চুক্তি সই করাসহ ছয় দফা দাবিতে বুধবার সকাল ১১টা থেকে ১১টা ১০ পর্যন্ত ১০ মিনিট এই কর্মসূচি পালিত হয়।
এ সময় নদীর দুই তীরের ২ শতাধিক হাট, বাজার, বন্দরের সকল কার্যক্রম স্তব্ধ হয়ে পড়ে।
দাবিগুলো হচ্ছে, তিস্তা নদী সুরক্ষায় ‘মহাপরিকল্পনা’ দ্রুত বাস্তবায়ন। অভিন্ন নদী হিসেবে ভারতের সঙ্গে ন্যায্য হিস্যার ভিত্তিতে তিস্তা চুক্তি সম্পন্ন, তিস্তা নদীতে সারা বছর পানির প্রবাহ ঠিক রাখতে জলাধার নির্মাণ। তিস্তার ভাঙন, বন্যা ও খরায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের স্বার্থ সংরক্ষণ। ভাঙনের শিকার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসন।
তিস্তা নদী সুরক্ষায় বিজ্ঞানসম্মত খনন, মহাপরিকল্পনায় তিস্তা নদী ও তিস্তা তীরবর্তী কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষায় কৃষক সমবায় এবং কৃষিভিত্তিক শিল্প কলকারখানা গড়ে তোলা। তিস্তা নদীর শাখা-প্রশাখা ও উপ-শাখাগুলোর সঙ্গে নদীর পূর্বেকার সংযোগ স্থাপন এবং দখল-দুষণমুক্ত করে নৌ চলাচল পুনরায় চালু। মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ এবং প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তিস্তা পাড়ের মানুষদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।
রংপুরের পীরগাছা তারাবাজারে সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানি, বাংলা বাজারে সংগঠনের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নুরুজ্জামান খান, গঙ্গাচড়া উপজেলার মহিপুরে শেখ হাসিনা সেতুর উত্তর প্রান্ত সংলগ্ন বাজারে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ড. তুহিন ওয়াদুদ, স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য মাহমুদুল হক সহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর