লকডাউনে রংপুরে গরিব মানুষদের খাদ্য সহায়তায় এখনো দেখা যায়নি সমাজের বিত্তবান, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলোকে। করোনার এই মহামারির সময় জনগণের পাশে নেই স্থানীয় এমপিরাও। রংপুর জেলায় ৬টি সংসদীয় আসনের পাঁচজন এমপিই নিজ এলাকায় নেই।
গত বছর যখন করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল। সেই সময় সরকার লকডাউন ঘোষণা না করলেও জনসাধারণের চলাচলে কঠোর বিধি নিষেধ জারি করেছিল। সে সময় সরকারি-বেরকারি পর্যায়ে অনেকেই নিম্ন আয়ের এবং দুস্থ মানুষদের খাদ্য সহায়তা দিয়ে সাহায্য করেছিল।
এবার লকডাউনের কারণে নিম্নআয় ও শ্রমজীবী মানুষ আর্থিকভাবে সংকটের মুখে পড়লেও রংপুরে এখন পর্যন্ত ওইসব মানুষদের খাদ্য সহায়তা দিয়ে সাহায্য করতে কাউকে দেখা যায়নি। ফলে অনেক নিম্ন আয়ের শ্রমজীবীরা বেকায়দায় থাকলেও মুখ ফুটে কিছু বলতে পারছেন না।
নগরীর শাহী পাড়া এলাকার শাহাজান মিয়া বলেন, গত বছর গরিব-দুস্থদের বিভিন্ন মানুষ খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সহায়তা করেছে। এবার এখন পর্যন্ত কোনো বিত্তবান গরিবদের সহায়তায় এগিয়ে আসেননি। তিনি বলেন, লকডাউনের এই সময়ে সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় রয়েছে দোকান কর্মচারীরা। তাদের কোনো আয় নেই। এভাবে চলতে থাকলে তারা খাদ্য সংকটের মুখে পড়বেন বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
এদিকে, মাঠ পর্যায়ে খোঁজ-খবর নিয়ে দেখা গেছে, করোনা প্রতিরোধে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানেটারি সামগ্রী বিতরণেও অনেক বিত্তবান ও প্রতিষ্ঠানের অনীহা এসে গেছে। তবে সরকার দলীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগকে মাস্ক বিতরণ করতে দেখা গেছে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদি হাসন রনি বলেন, আমরা জনগণের মাঝে সচেনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মাস্ক বিতরণ করছি। প্রতিদিনই সচেনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
জেলা সুজনের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন বলেন, লকডাউনের সময় যাদের কাজের অভাব রয়েছে, তাদের খাদ্য সংকটে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সরকারের পাশাপাশি তাদের পাশে বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিত।
বিডি প্রতিদিন/এমআই