সারা দেশে জেলার ভেতরে গণপরিবহণ চালু হলেও রংপুরের বাসগুলোতে যাত্রী সংখ্যা প্রায় শূন্য। বাস মালিকরা বলছেন, জেলার ভেতরে এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় যেতে বাসের চেয়ে অটো, মাইক্রো অথবা সিএনজিতে যেতে বেশি আগ্রহ বোধ করছেন যাত্রীরা। ফলে বাসে যাত্রীর সংখ্য্যা কম।
রংপুর বাস মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার থেকে জেলা পর্যায়ে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে সকাল থেকে ৩০টির মতো বাস জেলার ৪টি রুটে চলাচল করলেও যাত্রীর সংখ্যা ছিল খুবই কম। বাস টার্মিনাল থেকে বগুড়ামুখী সড়কে রংপুরের শেষ প্রান্ত ধাপের হাট, লালমনিরহাট-কুড়িগ্রাম সড়কের শেষ প্রান্ত কাউনিয়া, সৈয়দপুর সড়কের শেষপ্রান্ত খিয়ারজুম্মাা, ডালিয়া সড়কের ভিন্নজগতের নিকট পর্যন্ত বাস চলাচল করছে।
আবার সেখান থেকে বাস টার্মিনালে ফেরত আসছে বাসগুলো। যেসব স্থানে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সেখান থেকে যাত্রীরা নেমে ভিন্ন বাস অথবা অটো কিংবা সিএনজিতে করে তাদের গন্তব্যে যাচ্ছেন। তবে একই জেলায় হওয়ায় যাত্রীরা বাসের চেয়ে অটো কিংবা সিএনজিতে যেতে আগ্রহ বোধ করছেন। এতে টাকা কিছু বেশি লাগলেও সময় কম লাগে।
তাজুল ইসলাম নামে এক বাস শ্রমিক জানান, রাস্তার মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়েও বাসে যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। লকডাউনের কারণে এক উপজেলা থেকে আরেক উপজেলায় যেতে যাত্রীরা সিএনজি অথবা অটোতে যাতায়াত করতে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। সেই ধারা এখনো অব্যাহত রয়েছে। তাই বাসে যাত্রী নেই। তিনি আশা করেন দুই-একদিনের মধ্যে যাত্রী সংখ্যা বাড়বে।
রংপুর বাস মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন বলেন, আমরা সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস রাস্তায় বের করেছি। কিন্তু যাত্রী শূন্যতার কারণে সরকারি এই সিদ্ধান্ত কোনো কাজে আসছে না। বাস মালিক, শ্রমিক সবাই এখন ক্ষুধার্ত। এই অবস্থায় জেলার ভেতরে বাস চলাচল কোনো সুফল বয়ে আনবে না।
বিডি প্রতিদিন/এমআই