দীর্ঘ দেড় মাসেরও বেশি সময় পর শুরু হয়েছে স্থানীয় ও দূরপাল্লার লঞ্চ চলাচল। আগে আন্তঃজেলা বাস বন্ধ থাকলেও সোমবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে দূরপাল্লার রুটের বাস চলাচল। প্রথম দিনে নৌ পথে যাত্রী সংখ্যা তুলনামূলক কম হলেও স্থানীয় ও দূরপাল্লা রুটের বাসে যাত্রীদের অধিক চাপ দেখা গেছে। লঞ্চে কিছুটা স্বাস্থ্য বিধি মানার চেষ্টা করা হলেও বাসে প্রতিটি সিটে এমনকি দাঁড়ানো অবস্থায় যাত্রীও বহন করা হচ্ছে। যদিও বাসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী পরিবহনের নির্দেশ রয়েছে। তবে এসব তদারকি করতে দেখা যায়নি সংশ্লিষ্ট কোনো কর্তৃপক্ষকে।
দীর্ঘ ৪৭ দিন পর আজ সোমবার সকাল থেকে চিরচেনা রূপে ফিরেছে বরিশাল নদী বন্দর। সকালে যাত্রীদের পদভারে মুখরিত নদী বন্দরের পন্টুন। বরিশাল নদী বন্দর থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়া এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে নদী বন্দরে আসা লঞ্চগুলোতে প্রথম দিনে যাত্রী সংখ্যা তুলনামূলক কম দেখা গেছে। এক সিট ফাঁকা রেখে লঞ্চে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। লঞ্চে উঠার সময়ও যাত্রীদের হাতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার স্প্রে করতে দেখা গেছে। বর্ধিত ভাড়া নিলেও এ নিয়ে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া নেই লঞ্চ যাত্রীদের। তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চে যাতায়াত করতে পেরে খুশি।
এদিকে দেড়মাস পর লঞ্চ চালু হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন লঞ্চের কর্মচারীরা। এবার তাদের অভাব কিছুটা হলেও দূর হবে বলে প্রত্যাশা নৌযান শ্রমিকদের।
এদিকে লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি মানার চেষ্টা করা হলেও উল্টো চিত্র সড়ক পথে। সকালে বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে স্থানীয় ও দূরপাল্লা রুটের বাসের যাত্রীদের প্রচুর ভীড়। বাসে উঠার জন্য জড়ো হয়ে আছেন যাত্রীরা। বাসে ওঠার আগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার স্প্রে করা হচ্ছে না। অধিক চাপের কারণে স্থানীয় ও দূরপাল্লা রুটের বাসের প্রতিটি সিটে যাত্রী বহন করা হচ্ছে। কোন কোন বাসে দাড়ানো যাত্রীও পরিবহন করতে দেখা গেছে। এতে স্বাস্থ্য বিধি রক্ষা হচ্ছে না। অথচ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে ৬০ ভাগ বর্ধিত হারে।
দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু হওয়ায় পরিবহন শ্রমিকরা পরিবার পরিজন নিয়ে বাঁচতে পারবে বলে আশা শ্রমিকদের।
এদিকে যাত্রীরা বাসে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করলেও নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালের দূরপাল্লা পরিবহন কোম্পানী সাকুরা পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার মো. আনিছুর রহমানের দাবি স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুই সিটে একজন যাত্রী পরিবহন করছেন তারা।
টার্মিনালের একটি সূত্র বলেছে, বরিশাল থেকে কাঁঠালবাড়ি রুটের বাসে এবং স্থানীয় বিভিন্ন রুটের বাসে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। দাঁড়িয়েও যাত্রী নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে প্রথম দিন দূরপাল্লার বাস এবং স্থানীয় ও দূরপাল্লা রুটের লঞ্চ চলাচল শুরু হলেও এসব পরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করার কেউ নেই।
যদিও এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন কঠোর নজরদারি করছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার সুব্রত বিশ্বাস দাস।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা