জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে সারা দেশের ন্যায় রংপুরে দ্বিতীয় দিনের মত গণপরিবহণ বন্ধ রয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন যাত্রীরা। শনিবার সকালে নগরীর মর্ডান মোড় থেকে দুই-একটি বাস চোরাইভাবে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় শ্রমিকরা এতে বাধা দেয়। ফলে দূরপাল্লার কোনো বাস-ট্রাক চলেনি। অনেকে অটো রিকশায় যাতাযাত করলেও তাদেরকে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া গুণতে হয়েছে।
মিঠাপুরের হাবিবুর রহমান ব্যক্তিগত কাজে রংপুরে এসেছিলেন অটো রিকশায়। কাজ শেষে যাওয়ার পথে বেশি ভাড়া গুণতে হয়েছে তাকে। তার মত আশেপাশের উপজেলার অনেকেই যাতাযাত করেছেন অটো রিকশাতে করে।
তবে দূরপাল্লার অনেকেই মাইক্রোবাস কিংবা অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছেন। এদিকে ট্রাক- ট্যাংক লরি বন্ধ থাকায় কাঁচা তরিতরকারিসহ নিত্যপণ্য রংপুরের বাইরে পাঠাতে পারেনি। অনেকেই কাঁচা পণ্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন। মিঠাপুকুরের সবজি চাষি আশরাফুল বলেন, এ অবস্থা আর কয়েকদিন চললে তাদের লোকসানের মুখে পড়তে হবে।
এদিকে মোটর মালিক ও শ্রমিক নেতারা বলেন, হঠাৎ করে জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়িয়ে দেয়ায় গণপরিবহণের ভাড়া বাড়বে। এতে যাত্রীদের সাথে অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটবে।
এদিকে ডিজেল-কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বৃদ্ধি, তেল, চিনি, ডাল, চাল, গ্যাস সিলিন্ডারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে রংপুর নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে রংপুর বামগণতান্ত্রিক জোট।
মিছিলটি স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে নগরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জাহাজ কোম্পানি মোড়ে সমাবেশ করে। বামজোটের ও বাসদ (মার্ক্সবাদী) জেলা সমন্বয়ক কমরেড আনোয়ার হোসেন বাবলুর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সিপিবি জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযুদ্ধা শাহাদত হোসেন, বাসদ জেলা আহবায়ক আব্দুল কুদ্দুস, সদস্য সচিব মমিনুল ইসলাম প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ডিজেল, কেরোসিনের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমানোর দাবি জানান।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল