ঈদযাত্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধুসেতু মহাসড়কে যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে টাঙ্গাইলে মির্জাপুরের গোড়াই এলাকার ফ্লাইওভার খুলে দেওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুর ২টার দিকে যান চলাচলের জন্যে সাময়িকভাবে খুলে দেওয়া হয়। অসমাপ্ত এ ফ্লাইওভার চালু করার ফলে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে বলে আশা করছেন প্রকল্পের কর্মকর্তারা।
অপরদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুর অংশে দুটি ফ্লাইওভার যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। আজ সকালে গাজীপুর মহানগরীর নাওজোর এবং কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর বাজারে মহাসড়কের ওপর নির্মিত ফ্লাইওভার দুটি খুলে দেওয়া হয়।
এদিকে ২২ জেলার মানুষের যাতায়াতের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কের নলকা সেতুর এক লেন। সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টায় আনুষ্ঠানিকভাবে তা খুলে দেন সাসেকের প্রকল্প পরিচালক ড. ওয়ালিউর রহমান।
ঈদে প্রতিবছরই এ মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। এ বছরও যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত চার লেনের সড়ক নির্মানকাজ প্রায় সমাপ্ত হয়েছে। তবে এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধুসেতু পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার সড়ক দুই লেন হওয়ার কারণে যানজটের শঙ্কায় ভুগছেন যাত্রীরা। চার লেনের সুবিধায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যানবাহন এলেঙ্গা পর্যন্ত পৌঁছে আটকে যায় দুই লেনের মুখে। আর এখান থেকেই শুরু হয় যানজটের। এছাড়া বঙ্গবন্ধুসেতুতে টোল আদায়ের ধীরগতির কারণেও যানজটের সৃষ্টি হয়। আবার বঙ্গবন্ধুসেতুর পশ্চিম পাশে সিরাজগঞ্জে চার লেনের কাজ চলমান থাকার কারণে সেখানেও যানজট সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
মির্জাপুরের গোড়াই এলাকায় উড়াল সেতু খুলে দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মনির হোসেন, সাসেক-১ এর প্রকল্প পরিচালক মো. ইসহাক ও অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক নুর ই আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ