ভয়াবহ সড়কের নাম টঙ্গী-গাজীপুর। তীব্র যানজটের কারণে চলছে না গাড়ি। ফলে অসহনীয় দুর্ভোগ পদে পদে। যে কোনো সময় বন্ধ হতে পারে গণপরিবহন। বৈরী আবহাওয়ার কারণে থেমে থেকে বৃষ্টি, সড়কে খানাখন্দ, জলাবদ্ধতা ও মহাসড়কে খোঁড়াখুঁড়ি বিভিন্ন কারণে গত দুইদিন ধরে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে।
সড়কে চলতে গিয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ। এই যানজটের প্রভাব এখন ঢাকা, সদরঘাট, যাত্রাবাড়ি, উত্তরা, আব্দুল্লাহপুর ও আশুলিয়া সড়কে দেখা দিয়েছে। হঠাৎ করে এই যানজটের কারণে জনমনে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তবে ট্রাফিক পুলিশ যানজটরোধে কাজ করেও মিলছে না এর উত্তরণ। ফলে আধা ঘণ্টার পথ পার হতে সময় লাগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। পরিবহন যাত্রীরা বাসে বসে বসে সময়ক্ষেপণ ছাড়া কোনো গতি নেই।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী ও গাজীপুরে তীব্র যানজটে পুরো রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে। দেখা দিয়েছে দুর্ভোগ। বৈরী আবহাওয়ার কারণে থেমে থেকে বৃষ্টি, সড়কে খানাখন্দ, জলাবদ্ধতা, মহাসড়ক দখল করে দোকানপাট ও গাড়ির স্ট্যান্ড বসানো এবং মহাসড়কে খোঁড়াখুঁড়ি বিভিন্ন কারণে গত দুই দিন ধরে তীব্র যানজটে নাকাল নগরবাসী।
টঙ্গী শিলমুন এলাকার বাসিন্দা শিরিন আক্তার বলেন, রাস্তায় জ্যাম থাকার কারণে মেয়েকে উত্তরার স্কুলে নিতে অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় বসে থাকতে হচ্ছে, এমনকি বৃষ্টি উপেক্ষা করে। মানুষের দুর্ভোগরোধে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
এ বিষয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন টঙ্গী জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. লেহাজ উদ্দিন বলেন, নগরীর জলাবদ্ধাতা নিরসনে বিভিন্ন এলাকায় ড্রেন নির্মাণ কাজ চলছে এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাও অব্যাহত রয়েছে।
ট্রাফিক দক্ষিণের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. ফয়জুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে রাস্তায় পানি জমেছে এবং বিভিন্নস্থানে খানাখন্দ দেখা দিয়েছে। ফলে গাড়ির গতি কমে যাওয়ায় জ্যাম বাড়তে থাকে। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে বিআরটিএ প্রকল্পের মেরামত কাজ বন্ধ রাখায় তাদের পাইলিং করা বড় বড় গর্ত আরো বড় হয়ে ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এসব মেরামত না করলে রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। পুলিশ জ্যামরোধে মাঠে কাজ করছে। বৃষ্টি থেমে গেলে হয়তো একটু সমস্যা কমে আসবে। বিআরটিএ প্রকল্পের শতভাগ কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই সড়কে মানুষের চলাচলের ভোগান্তি কমবে না।
বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ বলছেন, চারভাগের মধ্যে তিনভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আমাদের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে পানি জমে একটু সমস্যা দেখা দিয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই