ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বরিশালের বিভিন্ন নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। অন্যান্য নদীর পানিও বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সংলগ্ন চর ও নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। বরিশাল নগরীর প্রধা প্রধান সড়কও তলিয়ে গেছে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোগ্রাফি বিভাগের সোমবার বিকেল সোয়া ৫টার রিপোর্ট অনুযায়ী, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার (২.৫৫) ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বিকেল সাড়ে ৩টায় ভোলা খেয়াঘাট এলাকায় তেতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার (২.৯০ মিটার) ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, বিকেল ৩টায় দৌলতখান উপজেলায় মেঘনা ও সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার (৩.৪১ মিটার) ৬৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, তজুমুদ্দিন পয়েন্টে সুরমা মেঘনা নদীর পানি দুপুর ২টায় বিপৎসীমার (২.৮৩ মিটার) ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, মির্জাগঞ্জ পয়েন্টে বুড়িশ্বর ও পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার (২.৮১ মিটার) ৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, বিষখালী নদীর বরগুনা পয়েন্টে সকাল ১১টায় বিপৎসীমার (২.৮৫ মিটার) ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, সকাল সাড়ে ১০টায় পাথরঘাটা পয়েন্টে একই নদীর বিপৎসীমার (২.৮৫ মিটার) ৫৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
এছাড়া ঝালকাঠীর বিষখালী, পিরোজপুরের বলেশ্বর এবং উমেদপুর পয়েন্টে কঁচা নদীর পানিও বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে।
নদ-নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় তলিয়ে গেছে বিস্তির্ণ নিম্মাঞ্চল এবং চরসমূহ। বরিশাল নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক সহ বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে গেছে। এতে জনগণের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। রাস্তাঘাটে তেমন যানবাহন চলাচল করছে না। অতি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারী বর্ষণ এবং সমুদ্রে পানি বেড়ে যাওয়ায় নদীর পানি বেড়েছে। সিত্রাংয়ের প্রভাব কেটে গেলে পানি কমে যাবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন