ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, প্রকৌশলীরা সভ্যতা বিকাশের অংশীজন। একটি জাতি বিনির্মাণে প্রকৌশলীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। যে কোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় পেশাজীবীদের দায়বদ্ধতা অনেক।
শনিবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) উদ্যোগে 'ভূমিকম্পজনিত দুর্যোগ বুঁকি হ্রাস: প্রস্ততি ও করণীয়' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বিএমডিসি কোড থাকলে তা বাস্তবায়ন ও নজরদারি প্রয়োজনীয়। কোনো ঘটনা ঘটে গেলে দায়িত্ব কার উপর দিয়ে পার পেয়ে যাবো সেটাই আমরা করি। কোনো দুর্যোগ ঘটলে সবাই সেখানে ভিড় জমায়। ফায়ার সার্ভিস, র্যাব, সিটি কর্পোরেশন, রেড ক্রিসেন্ট, রাজউক সবাই গিয়ে হাজির হয়। আসলে দুর্যোগে শুরুতে কে কাজ করবে সেটা অনেক দায়িত্বশীলরাও জানে না। ভবন নির্মান কোড-১৯৯৩, ২০২০ সালে প্রস্তুত হয়েছে। ছোট ছোট দুর্যোগ মোকাবেলা না করতে পারলে তুরস্কের মতোই ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে।তিনি আরও বলেন, নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়েছে বহুগুণ, ফলে মানুষ মান নিয়ন্ত্রণে অনাগ্রহী হচ্ছে। ফলে যেকোন সমস্যায় প্রকৌশলীদেরই সমাধান দিতে হবে। সমস্যার গভীরে যেতে হবে। তাহলে ভবিষ্যতে যেকোন দুর্যোগ মোকাবেলা করা যাবে।
সেমিনারে আইইবির প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. নূরুল হুদার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাৎ হোসেন শীবলু। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ড. ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী আহমেদ আনসারি।
অন্যান্যর মধ্য আরও উপস্থিত ছিলেন আইইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার এস এম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, ইঞ্জিনিয়ার মো. নুরুজ্জামান, খন্দকার মঞ্জুর মোর্শেদ, সহকারী সাধারণ সম্পাদক রনক আহসান, ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম হাজারী, ঢাকা সেন্টারের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোল্লা মো. আবুল হোসেন, সম্পাদক কাজী খায়রুল বাসার প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল