বরিশালের ইফতার বাজারে সব ধরনের খাবারের মূল্য অস্বাভাবিক ভাবে বেড়েছে। মানে-গুণে উন্নতি না হলেও দোকানিদের মনগড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইফতার সামগ্রী। পরিবারের প্রয়োজনে অনেকটা বাধ্য হয়েই গুণ-মানহীন ইফতারি কিনছেন ক্রেতারা। এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নামমাত্র নজরদারী চললেও এতে সার্বিকভাবে বাজারে তেমন প্রভাব পড়ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
সিয়াম সাধনার মাস রমজান। সারা দিন রোজা রাখার পর সন্ধ্যায় ইফতারিতে পছন্দসই খাবারের কদর সর্বত্র। নামা-দামি হোটেল রেস্তোরাঁগুলোর পাশাপাশি নগরীর বিভিন্ন মোড়ে এবং অলিগলিতে রকমারি ইফতার সাঁজিয়ে বসেন দোকানীরা।
ক্রেতারা বলছেন, আগের চেয়ে এবারের ইফতার বাজারে অযৌক্তিকভাবে মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে। মানে-গুনেও ঘাটতি আছে। তারপরও শিশু সহ পরিবারের আবদার মেটাতে বাধ্য হয়ে আধুনিক যুগের ইফতার সামগ্রী কিনতে হচ্ছে তাদের। কিন্তু আর্থিক টানাটানিতে পছন্দের সব খাবার কিনতে পারছেন না তারা। বাজেট কমিয়ে ইফতার কিনছেন।
শুধু রোজাদাররাই নয়, অমুসিলমরাও ইফতার সামগ্রী কিনতে গিয়ে হোচট খাচ্ছেন। এ কারণে ইফতারির সার্বজনীন আনন্দ কিছুটা ম্লান হয়েছে বলে মনে করেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সুব্রত কুমার দাস।
নগরীর খান সড়কের ইফতার বিক্রেতা তুষার কাজী বলেন, প্রথম এক-দুই দিন কিছুটা বিক্রি হয়েছিলো। এরপর বিক্রি কমে গেছে। কর্মচারীদের বেতন দেয়ার পর কিছুই থাকে না। প্রতিদিন লোকসান গুনছি।
নাজেমস্ রেস্তোরার ম্যানেজার রাকিবুর রহমান রিজভী বলেন, ইফতারী পন্যের দাম নিয়ে ক্রেতার অসন্তুষ্টি আছে। মান নিয়ে নয়। মুদি এবং কাঁচামালের দাম কমলে ইফতারির দামও কমানো হবে।
এদিকে ইফতার বাজারে রমজানের শুরু থেকেই নজরদারী করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অপূর্ব অধিকারী। ইফতারির মান নিশ্চিত করার পাশাপাশি অস্বভাবিক মূল্য বৃদ্ধি ঠেকাতে তৎপরতা অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছেন তিনি।
অন্যান্য বছর রোজার প্রথম দিকে ইফতার বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কঠোর অভিযান পরিচালিত হলেও এবার তেমন কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি প্রশাসনের।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল