বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ বাবলু মৃধা নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন।
সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ১০টার দিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
মঙ্গলবার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
মঙ্গলবার পুলিশ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে ।
যাত্রাবাড়ী থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুজ্জামান জানান, কোটা আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে যাত্রবাড়ী লাকি কমিউনিটি সেন্টারের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হন বাবলু। পথচারীরা তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করে। সেখান থেকে সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রাতে মারা যান তিনি।
নিহতের ভাই মো. রুবেল জানান, তাদের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার খারিজা বেতাগী গ্রামে। বাবার নাম মফেজ আলী মৃধা। স্ত্রী সীমা বেগম ও দুই ছেলেকে নিয়ে যাত্রাবাড়ী দনিয়া এলাকায় ভাড়া থাকতেন বাবলু রাজমিস্ত্রী।
তিনি আরও জানান, বাবলুর বড় ছেলে আবু তালেব দনিয়া কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। কোটা আন্দোলনের প্রথম থেকেই মিছিলে ছিল আবু তালেব। ১৯ জুলাই রাতে ছেলে আবু তালবকে খোঁজতে বের হন বাবলু। এ সময় যাত্রাবাড়ী লাকি কমিউনিটি সেন্টার এলাকায় পিঠে গুলিবিদ্ধ হয় বাবলু। পরে পথচারীরা তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায়। সেখানে একমাস চিকিৎসার পর তাকে বিজিবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে গত ২২ আগস্ট সিএসএইচ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় বাবলু।
বিডি প্রতিদিন/একেএ