বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর আওতাধীন এলাকায় গত ১৯-২৬ সেপ্টেম্বর এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
উক্ত কার্যক্রম মাঠ পর্যায়ে তদারকির জন্য ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে প্রতিটি অঞ্চলের জন্য ১টি করে মনিটরিং টিম গঠন করা হয়। প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে। সপ্তাহব্যাপী পরিচালিত এ কার্যক্রম স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ মাঠ পর্যায়ে তদারকি করেন। এ কার্যক্রমে লার্ভিসাইডিং এবং ফগিং কার্যক্রমের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। যেমন- মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, র্যালি এবং বাড়ি-বাড়ি এডিস মশার প্রজননস্থল অনুসন্ধান করা হয়। সপ্তাহব্যাপী পরিচালিত বিশেষ কার্যক্রমে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর মোট ১১২৭ জন মশক কর্মী এবং ৫৫ জন মশক সুপারভাইজার সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। সপ্তাহব্যাপী পরিচালিত বিশেষ কার্যক্রমের মোট ১২১৮৮৬টি বাড়ি পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শনকৃত বাড়ির মধ্যে ৩৫১টি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় যায়। সপ্তাহব্যাপী এই অভিযানে মোট ৮ হাজার ২৭৫টি মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা হয়েছে। লার্ভা পাওয়ায় ২৪০টি নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ হতে নাগরিকদের রক্ষাকল্পে জনসচেতনতা সৃষ্টি, মশার প্রজননস্থল বিনষ্টকরণ, পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা এবং লার্ভা ও মশা নিধন ইত্যাদি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় ডিএনসিসির মশক নিধন অভিযান যথাযথভাবে বাস্তবায়ন, সমন্বয় ও নিবিড় তদারকির জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও ডিএনসিসির প্রশাসক মোঃ মাহমুদুল হাসান, অতিরিক্ত সচিব এ. কে. এম, তারিকুল আলম এবং যুগ্মসচিব আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসানের নেতৃত্বে তিনটি তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি টিমে দুইজন করে কর্মকর্তা রয়েছে। ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে এই তদারকি টিম মনিটরিং শুরু করেছে। এই তদারকি কার্যক্রম টানা দুই সপ্তাহ চলবে।
ডিএনসিসির বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত তদারকি টিম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মশক নিধন কার্যক্রম সরেজমিনে তদারকি করবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ