পাঁচ বছর আগে রংপুরে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনও করা হয়। কিন্তু প্রশাসনিক অনুমোদন না পাওয়ায় হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হয়নি। পূর্ণাঙ্গ চালু না হয়ে শিশু হাসপাতালটি রমেক হাসপাতালের শিশু বিভাগের সম্প্রসারিত বহির্বিভাগ হিসেবে চালু করেছে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে। সেটিও নামমাত্র। কবে নাগাদ পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল চালু হবে, এ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কেউ কিছু বলতে পারছেন না।
সূত্রে জানা গেছে, রংপুরের সাবেক সদর হাসপাতালের ১ দশমিক ৭৮ একর জমির মধ্যে শিশু হাসপাতাল নির্মাণের কার্যাদেশ দেওয়া হয় ২০১৭ সালের ২১ নভেম্বর। ৩১ কোটি ৪৮ লাখ ৯২ হাজার ৮০৯ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়। ভবন নির্মাণের জন্য দুই বছরের সময়সীমা বেধে দেওয়া হলেও নির্ধারিত সময়ের আড়াই মাস আগে কাজ শেষ করে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
তিনতলা মূল হাসপাতাল ভবনের প্রতি তলার আয়তন ২০ হাজার ৮৮২ দশমিক ৯৭ বর্গফুট। এ ছাড়া নির্মাণ করা হয়েছে চারতলা ভিত্তির তিনতলা সুপারিনটেনডেন্ট কোয়ার্টার। সিঁড়ি বাদে প্রতি তলার আয়তন দেড় হাজার বর্গফুট। ছয়তলা ডক্টরস কোয়ার্টারের নিচতলায় গাড়ি পার্কিং, দ্বিতীয় তলা থেকে ডাবল ইউনিট। আছে ছয়তলার স্টাফ অ্যান্ড নার্স কোয়ার্টার। বিদ্যুৎ সাবস্টেশন স্থাপনের জন্যও নির্মাণ করা হয়েছে একটি ভবন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ হাসপাতাল ভবন হস্তান্তর করা হয়। করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়ায় ভবনটিকে ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। করোনা কমে যাওয়ায় হাসপাতালটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে হাসপাতালটি চালুর দাবি করে আসছিল রংপুরের সচেতন মহল।
গত বছর রমেক হাসপাতালের শিশু বিভাগের বহর্বিভাগ হিসেবে খোলা হয়। এতে দুুধের স্বাদ ঘোলে মিটানোর মত অবস্থা হয়েছে বলে মনে করছেন নগরবাসী। তিনজন ডাক্তার, দুইজন নার্সসহ মোট ১০ জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. মোস্তফা জামান চৌধুরী বলেন, হাসপাতালটি চালুর বিষয়ে এখন পর্যন্ত প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া যায়নি। ফলে শিশু হাসপাতাল চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।
বিডি প্রতিদিন/এমআই