ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আবার সক্রিয় হলেন সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খোকন। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বংশালের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্কুলের মাঠে বংশাল কোতয়ালী থানা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে হঠাৎ করেই সাঈদ খোকনের আগমণে 'খোকন, খোকন' স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে। পুরান ঢাকার হানিফ ভক্তরা প্রয়াত নেতার পুত্রকে পেয়ে আনন্দে ফেটে পড়েন। ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রয়াত মোহাম্মদ হানিফের ছেলে সাঈদ খোকন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে থাকলেও এক-এগার'র পর থেকে দলীয় কর্মকাণ্ডে তেমন একটা দেখা যায়নি।
সম্মেলনে সংক্ষপ্তি বক্তব্যে সাঈদ খোকন বলেন, দীর্ঘদিন পর আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। সামনে অত্যন্ত কঠিন ও বন্ধুর পথ। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হয়ে দাড়িয়েছে। পাশ্ববর্তী দেশের চেয়ে আমরা অগ্রগামী। বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাধা আছে, আসছে। আমি আশা করছি, আপনারা বিগত দিনের মত নিজের উৎসর্গ করে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবেন। তিনি বলেন, নেতৃত্ব পরিবর্তনশীল। পুরোনোদের মেধা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আমরা নতুনরা দল ও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। আওয়ামী লীগ ও নেত্রীর হয়ে আপনাদের কাছে এর সহযোগিতা চাই।
বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। এরপরই সমাবেশ স্থলে আসেন ঢাকার প্রয়াত মেয়রের ছেল ও নগরের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খোকন। তার আগমনে পাল্টে যায় পুরো দৃশ্যপট। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে নিথর এ সম্মেলন। তার মঞ্চ উঠতে সাময়িক দেরি হওয়ায় শুরু হয় হৈ চৈ। পরে মঞ্চে উঠে হাত নেড়ে শান্ত করেন তার ভক্তদের। সাঈদ খোকনের আগমণে নগর আওয়ামী লীগের অনেক নেতারা তুষ্ট হলেও কালো মেঘ নেমে আসে অনেক নেতার মুখে। স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেননি অনেকে।
ঢাকার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ২০০৩ সালে নগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় ভয়াবহ আহত হন। গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাত কাটিয়ে ওঠার আগেই দুই বছরের মাথায় রাজধানীর মুক্তাঙ্গনে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হন। উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেওয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান।
তার ছেলে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খোকন পিতার পথ ধরেই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন।
কোতোয়ালী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান পর্ব্বতের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সাবেক সাংসদ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন প্রমুখ।