রবিবার, ১০ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা
উপজেলা নির্বাচন

পৌর মেয়রসহ আওয়ামী লীগের ১১ নেতার কারাদন্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহীর দুর্গাপুরে পৌর মেয়র তোফাজ্জল হোসেনসহ আওয়ামী লীগের ১১ নেতাকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গতকাল দুপুরে দুর্গাপুর পৌরসভায় বৈঠক করার সময় তাদের আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের প্রত্যেককে ৫ দিন করে কারাদন্ড দেওয়া হয়। উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাদের আটক করা হয়েছে। আজ দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আটক হওয়া আওয়ামী লীগ নেতারা বিদ্রোহী প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল মজিদের সমর্থক। রাজশাহীর পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ ১১ জনকে আটক করার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেন, ঝালুকা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোজাহার আলীসহ ১১ জনকে পাঁচ দিন করে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বিকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাওসার হামিদ এ আদেশ দেন। এর আগে দুপুরে দুর্গাপুর পৌরসভা ভবন থেকে তাদের আটক করে পুলিশ। দন্ডপ্রাপ্ত সবাই আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী। এদের মধ্যে পৌর মেয়র তোফাজ্জল হোসেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। দন্ডপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন-  দুর্গাপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজহার আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মজনু, উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি নুর হোসেন, পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সোলাইমান আলী, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফ, দেলুয়াবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, মেয়র তোফাজ্জাল হোসেনের ছেলে মনিরুজ্জজামান মনি, ভাগ্নে রবিউল ইসলাম রবিন ও ছাত্রলীগ কর্মী সাকিল। তারা দলের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী আবদুল মজিদ সরদারের পক্ষে কাজ করছিলেন। চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল মজিদ সরদার অভিযোগ করেন, ‘দুর্গাপুর পৌর কার্যালয়ে ঘরোয়াভাবে বৈঠক করছিলেন মেয়রসহ বেশ কিছু নেতা-কর্মী। এর আগে সকালে দুর্গাপুরের ঝালুকা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাহার আলীকেও আটক করা হয়।

পুলিশ দাবি করেছে, নির্বাচনের দুই দিন আগেই প্রচারণা বন্ধ করার নিয়ম আছে। কিন্তু মজিদের সমর্থকরা বিধি ভেঙে বৈঠক করছিলেন। এই অপরাধে তাদের আটক করা হয়েছে।

এদিকে দুপুরে দুর্গাপুর পৌরসভা কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয় স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মজিদ সরদারকে। মোবাইল ফোনে আবদুল মজিদ জানান, তার নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের আটক করার খবর পেয়ে তিনি পৌর কার্যালয়ে এলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে সেখানে অবরুব্ধ করে রাখে। তাকে সেখান থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। বের হলে তাকে আটক করা হবে এমন হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন আবদুল মজিদ।

সর্বশেষ খবর