সোমবার, ৬ মে, ২০১৯ ০০:০০ টা

পাহাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বাধা প্রভাবশালীরা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

পাহাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বাধা প্রভাবশালীরা

চট্টগ্রাম নগরীর লালখান বাজারের পোড়া কলোনি এলাকায় গতকাল পাহাড়ের ওপর গড়ে ওঠা ১০০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে জেলা প্রশাসন -বাংলাদেশ প্রতিদিন

চট্টগ্রাম নগরের লালখান বাজার এলাকার ২০০৭ সালে মতিঝরনাসহ সাতটি স্থানে পাহাড়ধসে ১২৭ জনের মৃত্যু হয়। ২০০৮ সালে মতিঝরনা এলাকাতেই পাহাড়ধসে মৃত্যু হয় চার পরিবারের ১২ জনের। এমন অতিঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে অবৈধ স্থাপনা ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। গত শনিবার ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছন্ন করতে গেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ-বিএনপি নেতার বাধার মুখে পড়েন জেলা প্রশাসনের অভিযান দল। অপসারণ করা যায়নি বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার। তাছাড়া মতিঝরনা পাহাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের প্রতিবাদে গতকাল দুপুরে লালখান বাজার মোড়ে সড়ক অবরোধ করে পাহাড়ের পাদদেশের বাসিন্দারা। এর পেছনেও            স্থানীয় প্রভাবশালীদের ইন্ধন আছে বলে অভিযোগ আছে। অন্যদিকে, গত শুক্রবার নগরের উত্তর পাহাড়তলির তিন নম্বর ঝিলপাড় এলাকার পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতির অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের ট্রান্সফরমার অপসারণ করতে গিয়ে স্থানীয়দের হামলার শিকার হন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা। এভাবে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বড় অন্তরায় হয়ে উঠছেন স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা। গত শনিবারের উচ্ছেদে বাধা দেন নগর মহিলা দলের সভানেত্রী ও স্থানীয় সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি এবং লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম। এর আগে গত ১৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সব সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং ১৫ মে’র মধ্যে সব স্থাপনা উচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত হয়। অভিযানে থাকা কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযান হলে কিছু ঘটনা ঘটে। তবে গতকাল আমরা সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ১০০টি স্থাপনা উচ্ছেদ ও ৭টি মিটার জব্দ করে সফলভাবে অভিযান সম্পন্ন করেছি। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্দেশ এবং জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে আমরা অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছি।

 

সর্বশেষ খবর