ছাত্রলীগের কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বহিষ্কার দাবিতে টানা ১৯ দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাষ্কর্যে অবস্থান করছেন সংগঠনটির পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া নেতা-কর্মীরা। তবে দাবি পূরণে এখনো ছাত্রলীগের উচ্চ পর্যায় থেকে কোনো আশ্বাস পাননি তারা। তাই দাবি আদায়ে অনশনের মতো কঠোর কর্মসূচিতে যেতে পারেন বলে জানিয়েছেন আান্দোলনরতরা।
গত ২৭ মে ভোররাত থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি গতকাল পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। এর আগে, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণে গত ২৬ মে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ঘোষণার পর ভোররাত থেকেই অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন পদবঞ্চিতরা। কর্মসূচি থেকে তারা চার দফা দাবি জানান। এর মধ্যে রয়েছে, কমিটি থেকে সব বিতর্কিতদের বহিষ্কার করে যোগ্যদের পদায়ন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ এবং মধুর ক্যান্টিন ও টিএসসিতে হামলার সুষ্ঠু বিচার প্রভৃতি। পদবঞ্চিত অংশের মুখপাত্র ছাত্রলীগের বিগত কমিটির কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক রাকিব হোসেন বলেন, ‘ছাত্রলীগ বা আওয়ামী লীগের কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। এতে আমাদের আক্ষেপ নেই।
কিন্তু বিতর্কিতদের বহিষ্কার করে ছাত্রলীগকে কলঙ্কমুক্ত করা হোক। এই দাবি আদায়ে অনশন কর্মসূচিতেও যেতে পারি।’এদিকে ‘রাজু ভাষ্কর্যে অবস্থানকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো সম্পর্ক নেই’- আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানকের এমন মন্তব্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে। তার এমন মন্তব্যেও প্রতিক্রিয়ায় আবু রাকিব বলেন, ‘নানক ভাই আমাদের একজন সম্মানিত নেতা। তবে তার এমন মন্তব্য আমাদের মর্মাহত করেছে। আমরা রাজপথে ছিলাম। তার সঙ্গে কয়েকবার সাক্ষাৎ করেছি। সেসব ছবিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আছে। আর এখানে ছাত্রলীগের সাবেক নেতারাই অবস্থান করছেন।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি ন্যায্য। ছাত্রলীগের কমিটি থেকে ১৯ জন বহিষ্কার হওয়াই এটা প্রমাণ করে।’