শুক্রবার, ১২ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা
খুলনা

অবাধে বিক্রি হচ্ছে মরফিন-প্যাথেডিন

নজরদারি বৃদ্ধির নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের লাইসেন্স ছাড়াই খুলনার অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে প্যাথেডিন, মরফিনের ব্যবহার চলছে। এতে অননুমোদিত ড্রাগের অবৈধ হস্তান্তর, কালোবাজারে বিক্রিসহ অপব্যবহার বাড়ছে। গতকাল জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে এ বিষয়ে নজরদারি বৃদ্ধির নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। জানা যায়, মহানগর ও জেলায় বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের সংখ্যা শতাধিক। মহানগরীতে ৬০টির বেশি ক্লিনিক রয়েছে যারা অপারেশন করে। তথ্য অনুযায়ী, খুলনায় ৩৩টি ফার্মেসি ও সরকারি-বেসরকারি ২০টি হাসপাতাল ক্লিনিকের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের লাইসেন্স আছে। যা মোট সংখ্যার  থেকে ২০ শতাংশের কম। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর খুলনার উপ-পরিচালক মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, সাধারণত: অপারেশনে প্যাথেড্রিন ও হার্টের রোগীদের জন্য মরফিন ব্যবহৃত হয়। আমরা প্যাথেড্রিন-মরফিন বিক্রির লাইসেন্স দেই, তবে তা তদারকি করে অন্য সংস্থা।

এদিকে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় খুলনার বেসরকারি ক্লিনিক ও ফার্মেসির মাধ্যমে মরফিন, প্যাথেড্রিনের অবৈধ হস্তান্তর ও ব্যবহার প্রতিরোধে নজরদারি বৃদ্ধির নির্দেশনা দেওয়া হয়। পাশাপাশি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সোর্সের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় ৭ জুলাই স্থানীয় পত্রিকার রিপোর্টার আব্দুল জলিলকে সাজানোর মামলায় ফাঁসানোর ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হয়। সভায় জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির উপদেষ্টা ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ বলেন, খুলনায় মাদক প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি মাদকের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখতে পরামর্শ দেন।

সর্বশেষ খবর