শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

তাপমাত্রা আরও নামবে

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

দেশের সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নেমে আসছে ঘন শীত। প্রতিদিন এ জেলার তাপমাত্রা কমছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে এ জেলায় বিরাজ করছে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। দিনের বেলা রোদ খেলা করলেও গোধূলিতেই শুরু হয় কুয়াশা। রাতের বেলা কুয়াশায় ঢেকে যায় সবকিছু। ভোর থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত কুয়াশা ঘিরে রাখে কয়েক ঘণ্টা। এ কয়েক ঘণ্টা গ্রামগঞ্জের মানুষ আগুন পোহায়। সূর্যের দেখা মেলে আরও পরে। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, ডিসেম্বরে শীত আরও বাড়বে। এই সময়ে এ জেলায় বেড়েছে পর্যটকের ভিড়। শীত উপভোগ করার জন্যই অনেকে ছুটে আসছেন বলে জানালেন। নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা আলমগীর আলম জানান, ‘পঞ্চগড়ে অনেক শীত। তাই এ সময় বেড়াতে এসেছি। এখানে দিনের বেলা রোদ থাকলেও রাতে প্রচন্ড  ঠান্ডা। এমন ঠান্ডা আমাদের জেলায় কখনো আসে না।’ তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম জানান, পঞ্চগড়ে গত ৩ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রিতে ওঠানামা করছে। এটা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। ২০১৮ সালের ৫ থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত একই তাপমাত্রা ছিল। এ তাপমাত্রা ক্রমে কমতে থাকবে। বাড়বে ঠান্ডার তীব্রতা। কারণ বঙ্গোপসাগর থেকে মৌসুমি বায়ু আসা বন্ধ। তাই বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। এ সুযোগে হিমালয় থেকে আসছে উত্তর-পশ্চিমমুখী হিমবায়ু। এ হিমবায়ুর প্রভাবে পড়েছে শীত। হিমালয়ের খুব কাছে ঢালা সমতল ভূমিতে অবস্থান হওয়ায় পঞ্চগড়কে বলা হয় হিমালয়কন্যা।

এ জেলার মানুষকে প্রতি বছর তাই শীতের নানা প্রভাবের মুখোমুখি হতে হয়। শীতের তীব্রতা যত বাড়ছে ছিন্নমূল ও দরিদ্র মানুষের বাড়ছে দুর্ভোগ। পর্যাপ্ত গরম কাপড় ছাড়া পঞ্চগড়ে শীত কাটানো সম্ভব নয়। তাই গরম কাপড়ের দোকানগুলোয় ভিড় বাড়লেও দরিদ্র মানুষের কপালে পড়েছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। একখ  কাপড় আর সূর্যের আলোর আশায় তাদের রাত কাটে। তবে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রেহানুল হক জানান, শীত মোকাবিলা করার জন্য যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে। দরিদ্রদের জন্য ইতিমধ্যে প্রায় ১০ হাজার কম্বল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। শিগগিরই বিতরণ করা হবে। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে নানা রোগে। সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়াসহ বেশকিছু রোগে আক্রান্তরা ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের তাই পর্যাপ্ত গরম কাপড় ব্যবহার, খাবার ও গোসলের জন্য গরম পানি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মনসুর আলম।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর