কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও এক সাংবাদিককে পেটালেন শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। আবাসিক হলের নিজ কক্ষেই মারধরের শিকার হন এ সাংবাদিক। এর আগেও বিভিন্ন সময় শাখা ছাত্রলীগের মারধর ও হুমকির শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা। এদিকে আহত সাংবাদিক হামলার বিচার চেয়ে রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও হল প্রাধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের নিজ কক্ষে হামলার শিকার হন সজীব বণিক। আহত সজীব বণিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি দৈনিক বিজনেস বাংলাদেশ পত্রিকার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (কুবিসাস) সদস্য।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে শহীদ ধীরেন্দনাথ দত্ত হলের কক্ষে সিট নিয়ে কথা বলার সময় একপর্যায়ে সাংবাদিক সজীব বণিকের জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কর্মী রাজু আহমেদ। এ সময় ওই সাংবাদিক এর প্রতিবাদ করলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সদস্য ও হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মিরাজ খলিফা, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ইমতিয়াজ শাহরিয়ার, ছাত্রলীগ কর্মী রাজু আহমেদ, শাখা ছাত্রলীগের উপআপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক মুনতাসির হৃদয়, ছাত্রলীগ কর্মী মুক্তার হোসাইনসহ বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী রড-লাঠি দিয়ে সজীবকে মারধর করে।

আহত সজীব বণিক বলেন, ‘ওরা আমার কক্ষে ঢুকে রড, লাঠিসোটা নিয়ে আমাকে মারধর করে। তারা পেটানোর সময় আমাকে এবং সাংবাদিকদের নিয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে।’

এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলেও অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, ‘কারও গায়ে হাত তোলা চরম বেয়াদবি। কাউকে মারধর করা আমি কোনোভাবেই সমর্থন করি না। যারা সাংবাদিককে মারধর করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শহীদ ধীরেন্দনাথ দত্ত হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ জুলহাস মিয়া বলেন, ‘আমি অভিযোগপত্র পেয়েছি। হলের শিক্ষকদের নিয়ে বসে ব্যবস্থা নেব।’