বুধবার, ১৩ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

সিলেটে ট্রিপল সেঞ্চুরি বাড়ছে আতঙ্ক

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

সিলেট বিভাগে প্রথম করোনা পজিটিভ রোগী পাওয়া  যায় ৫ এপ্রিল। আক্রান্ত ব্যক্তি ছিলেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দিন। এরপর গত পাঁচ সপ্তাহে সিলেটে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ‘ট্রিপল সেঞ্চুরি’ স্পর্শ করেছে। গতকাল পর্যন্ত সিলেট বিভাগে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩০১ জন। পরীক্ষার সংখ্যা যতই বাড়ছে, একই সঙ্গে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায়, জনমনেও বাড়ছে আতঙ্ক। স্বাস্থ্য অধিদফতর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সিলেট বিভাগে এখন পর্যন্ত কভিড-১৯ আক্রান্ত ৩০১ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি হবিগঞ্জের। এই জেলায় ১০২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর পরই রয়েছে সিলেট জেলা। এখন পর্যন্ত সিলেট জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮ জন। এ ছাড়া সুনামগঞ্জে ৬৩ জন ও মৌলভীবাজারে ৪৮ জন কভিড-১৯ আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ১২০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে সিলেটের ২৯ জন, সুনামগঞ্জের ৩২ জন, হবিগঞ্জের ৫৮ জন ও মৌলভীবাজারের ১ জন রয়েছেন। ইউরোপ ও আমেরিকায় করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর সিলেটে আসেন বিপুল পরিমাণ প্রবাসী। তাই শুরু থেকেই সিলেটকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবেই বিবেচনা করা করা হচ্ছিল।

কিন্তু কঠোরভাবে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে পারায় প্রবাসীদের মাধ্যমে সিলেটে করোনাভাইরাস ছড়ানোর সুযোগ পায়নি। কিন্তু সিলেট বিভাগের জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায় নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা। এ দুই জেলা থেকে আসা লোকজনের মাধ্যমেই সিলেট বিভাগে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। লকডাউন ভেঙে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে শ্রমজীবী মানুষ আসায় ঝুঁকিতে পড়ে সিলেট বিভাগের চার জেলা।

সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অফিসের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান জানান, লকডাউন ভেঙে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা লোকজন সিলেটের জন্য বিপদ ডেকে আনেন। তাদের মাধ্যমেই মূলত সিলেট বিভাগে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। এখনো অনেকে বাইরে থেকে সিলেটে আসছেন। এটা বন্ধ করা না গেলে কোনোভাবেই সংক্রমণ ঠেকানো যাবে না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর