বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা
দুর্নীতির গণশুনানি

পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ রাবি উপাচার্যের

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহান মনে করেন তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষকদের একাংশ যে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলেন, সেই অভিযোগের ওপর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (বিমক) ডাকা গণশুনানিতে পক্ষপাতিত্ব। সম্প্রতি ইউজিসি চেয়ারম্যানের কাছে লেখা চিঠিতে ভিসি আবদুস সোবহান আহূত গণশুনানিকে বেআইনি বলে আখ্যায়িত করেন। চিঠিতে ভিসি বলেন, ‘উপাচার্যের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্তের  জন্য তদন্ত কমিটি গঠনের কোনো ক্ষমতা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে দেওয়া হয়নি। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, উপাচার্যের বিরুদ্ধে নামে-বেনামে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্তে আপনার নির্দেশে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। বিমক-এর একজন সিনিয়র সহকারী পরিচালক এবং উপাচার্যের সমমর্যাদা সম্পন্ন বিমক-এর দুজন সদস্য সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে এটা আইনসিদ্ধ নয়।

 আইন অনুযায়ী তদন্ত কমিটি সদস্যদের মর্যাদা উপাচার্যের মর্যাদার এক ধাপ ওপরে হওয়া বাঞ্ছনীয়। উপাচার্য নিয়োগ করেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি। উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত তাই শুধু নিয়োগকর্তা দ্বারা সম্পন্ন করা আইনসিদ্ধ। তাই, এ তদন্ত কমিটি কর্তৃক তদন্তকার্য পরিচালনা শুরু বেআইনিই নয় বরং এর মাধ্যমে মহামান্য রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাকেও খর্ব করা হয়েছে।’ চিঠিতে তিনি আরও বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যেসব মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট ও আপিল বিভাগে বিচারাধীন আছে। একই বিষয় নিয়ে তাই তদন্ত বা প্রশ্ন উত্থাপন করা আদালত অবমাননার শামিলও বটে।’ চিঠিতে তদন্ত কমিটি প্রধানের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও করা হয়। ভিসি বলেন, ‘তদন্তের আগে আমাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক গণমাধ্যমে বিষয়টি যেভাবে উপস্থাপন করেছেন, তা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, তদন্তের আগেই মিডিয়া ট্রায়াল সম্পন্ন করা হয়েছে। এতে করে একজন উপাচার্যকে নয় বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে অপদস্ত করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর