চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে সংঘাতের রাশ টানা যাচ্ছে না কোনোভাবেই। স্থগিত হওয়া নির্বাচনে ফের প্রচারণা শুরু হওয়ার পর অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকরা। ফলে প্রতিদিনই কোনো না কোনো ওয়ার্ডে সংঘাত কিংবা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটছে। এরই মধ্যে নির্বাচনী সংঘাতে খুনের ঘটনাও ঘটেছে। যদিও চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি) সংঘাত রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানিয়েছে। সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) এস এম মোস্তাক আহমেদ খান বলেন, ‘নির্বাচনে সংঘাত রোধে কঠোর হচ্ছে পুলিশ। অপরাধ করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। নির্বাচনী পরিবেশ শান্ত করতে প্রয়োজনে কঠোর থেকে কঠোর হবে প্রশাসন।’ স্থগিত হওয়া চসিক নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শুরু হওয়ার দিন থেকেই সংঘাতপূর্ণ হয়ে উঠেছে নির্বাচন। প্রচার-প্রচারণায় বাধা, পোস্টার ছেঁড়া কিংবা তুচ্ছ কারণে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা। হামলা পাল্টা হামলায় সরগরম চট্টগ্রামের রাজনীতি। এরই মধ্যে নির্বাচনী সহিংসতায় খুনের ঘটনাও ঘটেছে। যার মধ্যে নগরীর পাঠানটুলী ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। কাউন্সিলর প্রার্থীদের পাশাপাশি নির্বাচনী সংঘাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না মেয়র প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী, বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন এবং ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মুহাম্মদ জান্নাতুল ইসলামের ওপরও হামলার অভিযোগ উঠেছে। এমন পরিস্থিতি নির্বাচনী সংঘাতের রাশ টানতে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে সিএমপি। নির্বাচনকে সামনে রেখে বাড়ানো হয়েছে পুলিশের তৎপরতা। সংঘাতপূর্ণ এলাকাসমূহে বাড়ানো হয়েছে পুলিশের টহল ও চেকপোস্ট। সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘নির্বাচনী সংঘাত নিয়ন্ত্রণ করতে নির্বাচনের আগে ও পরের ঘটনাগুলো চিন্তা করে পরিকল্পনা করা হয়েছে। থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি, কাউন্টার টেররিজম ও সোয়াত মাঠে থাকবে নির্বাচনে।
নির্বাচনে সিএমপি থেকে ৯ হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে। তবে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা এলে এ সংখ্যা বাড়তেও পারে।