সোমবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

ভারতের সঙ্গে মৈত্রী বন্ধন আমাদের উন্নয়নে সহায়ক : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারতের সঙ্গে মৈত্রী বন্ধন আমাদের উন্নয়নে সহায়ক : তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে কিছু রাজনৈতিক শক্তি আছে, যাদের রাজনৈতিক মূল এজেন্ডা হচ্ছে ভারতবিরোধিতা। প্রতিবেশী তিন দিকের সীমান্তের দেশের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক রেখে এ দেশের উন্নতি সম্ভব নয়। ভারত-বিরোধিতাকেই যারা মূল প্রতিপাদ্য মনে করে রাজনীতিটা করে, তারা আসলে ভুল পথে হাঁটছে। সৌহার্দ্যরে মধ্যেই অগ্রগতি নিহিত। ভারতের সঙ্গে মৈত্রীবন্ধন দেশের উন্নয়নে অত্যন্ত সহায়ক। গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘নবজাগরণে নেতাজির আদর্শ’ সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

 বাংলাদেশে নেতাজির জন্মবার্ষিকী উদ্্যাপন ও দেশপ্রেম দিবস উদ্্যাপন পরিষদ এর আয়োজন করে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা উভয় দেশ যে মৈত্রীবন্ধনে এগিয়ে যাচ্ছি, এই মৈত্রীকে আরও সুদৃঢ় করার মধ্য দিয়ে এবং আঞ্চলিক ও মানুষে মানুষে যোগাযোগ আরও বিস্তৃত করার মধ্য দিয়েই আমাদের এ অঞ্চলের উন্নতি সম্ভব হবে। আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করছি।’

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান আবেদ খান, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি উত্তম বড়ুয়া ও আয়োজক সংগঠনের সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম এতে বক্তব্য রাখেন।

ভারতের হাইকমিশনার দোরাইস্বামী তার বক্তৃতায় বাংলাদেশে নেতাজির জন্মবার্ষিকী উদ্্যাপনকে অত্যন্ত অন্তর ছুঁয়ে যাওয়া ঘটনা বলে অভিহিত করেন। এতে দুই দেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ঘনিষ্ঠতর হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় জাতীয় জাদুঘরে এক সেমিনারে অংশ নিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন বিশ্ববাজারে এ দেশের চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা করবে। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের চলচ্চিত্রশিল্প প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় শুধু তার স্বর্ণালি যুগেই ফিরে যাবে না, অচিরেই তা বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা করবে।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এ ছাড়া আয়োজকদের পক্ষে মূল আয়োজক রেইনবো ফিল্মসের চেয়ারম্যান আহমেদ মুজতবা জামাল ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম. হামিদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ ১৯৭৭ সাল থেকে বাংলাদেশে চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনে যুক্ত থেকে সুস্থ ধারার চলচ্চিত্র প্রদর্শন ও আন্তর্জাতিক পরিবেশনার মাধ্যমে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সংস্কৃতি তুলে ধরছে।

উৎসবের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল, বর্তমানে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। এ ধরনের উৎসব আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে অত্যন্ত সহায়ক।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর